ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ধর্ষণের ফলে মা হওয়া যুবতীর শেষ পরিণতি মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ৮ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষণের ফলে মা হওয়া যুবতীর শেষ পরিণতি মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বিয়ের প্রলোভনে চাচাতো ভাই কর্তৃক একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো মাসুদা আক্তার (২২) নামের এক যুবতী। এ ঘটনায় বিচার না পেয়ে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন মাসুদা। অবশেষে ওই যুবতীর লাশ খাল থেকে উদ্ধার করেছে বরিশাল মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে মুখ খুলেছেন মাসুদার দিনমজুর পিতা বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম পাংশা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক সরদার। তিনি বলেন, আমার ভাই লতিফ সরদারের পুত্র রুবেল সরদার গত প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে বিয়ের প্রলোভনে মাসুদাকে ধর্ষণ করে। এতে সে (মাসুদা) গর্ভবতী হয়ে পরবর্তীতে একটি সন্তান জন্ম দেয়। তিনি আরও বলেন, ধর্ষক রুবেল সরদার তার মেয়েকে বিয়ে ও তার সন্তানের পিতৃত্ব পরিচয় না দিয়ে পালিয়ে বিদেশে চলে যায়। এনিয়ে বিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়ের করেও কোন সুরাহা মেলেনি। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকে মাসুদা। পাশাপাশি জন্ম নেয়া শিশুটিকে দিনাজপুরে দত্তক দেয়া হয়। তিনি (মালেক সরদার) বলেন, মাসুদা মানসিক ভারসাম্যহীনতা হারানোর পর সর্বশেষ গত আটদিন পূর্বে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ৭ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর ব্রিজের নিচের খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় মাসুদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাহিদ বিন আলম বলেন, ব্রিজের নিচের খালে মাসুদার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। ওসি আরও বলেন, মৃত্যুর পূর্বে মাসুদা ধর্ষণ হয়েছে কিনা বা কেউ তাকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলেছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি অমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×