ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ধর্ষণকারীরা যেন কোন রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঠিকানা না হয় ॥ সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৭ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষণকারীরা যেন কোন রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঠিকানা না হয় ॥ সেতুমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- করার যে দাবি উঠেছে, তাতে সমর্থন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নতুন সড়ক ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সারাদেশে চলা ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এদের ছোটখাটো লঘু দ- দিয়ে লাভ নেই। সর্বোচ্চ বিচারের যে দাবি উঠেছে, আমার মনে হয় এটা অযৌক্তিক নয়। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে আপসহীন মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্ষক যেন কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় না পায় সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেছেন, যে সকল অপরাধী বা ধর্ষক এ সকল ঘৃণ্য কাজ করছে, তাদের জন্য শাস্তিই শেষ কথা নয়, তারা কোন রাজনৈতিক দলের ছায়ায় থাকলে তাদের চিরতরে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ধর্ষণকারী যেন কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঠিকানা না হয় এবং ধর্ষকদের যেন কোনো রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় না দেয়। শেখ হাসিনার শাসনামলে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, উন্নয়নের গতি ধরে রাখার পাশাপাশি সামাজিক অপরাধ, দুর্নীতি, অনিয়ম, বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারে অবস্থান স্পষ্ট। দুর্নীতি-অনিয়ম করে যেমন কেউ ছাড় পায়নি, তেমনি নারীর প্রতি, শিশুদের প্রতি অন্যায়ের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে। তিনি বলেন, যেখানে যেই ঘটনাই ঘটুক কোনোটাকেই সরকার ছাড় দেয়নি। অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে, বিচার কাজ চলমান রয়েছে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার। কোনোটির রায় ইতোমধ্যে হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি ও অপকর্মের মূলোৎপাটনে শেখ হাসিনার কোনো পিছু টান নেই্। নারীর প্রতি সহিংসতা, নারীর অবমাননা, মাদক, সাইবার অপরাধ, গুজব ছড়ানো এই সব অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে, গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ। এসব নষ্ট রুচির অপরাধীদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। দেশে ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে বলেই ধর্ষণ বাড়ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার কঠোর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের। তিনি বলেন, বিচার শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। এর আগে কোনো অপরাধের বিচার হয়নি। তার আগে ফাহিমা, মুন্নি পূর্ণিমাদের কথাই ভাবুন। একটি ঘটনারও কি বিচার হয়েছে? একটি অপরাধেরও কি দ- দেয়া হয়েছে? বিএনপির দলীয় লোকদের একটিরও কি বিচার হয়েছে? তাদের মুখে এটা শোভা পায় না। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, দেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। আমরা বলতে চাই প্রতিদিন গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ‘ফ্রি স্টাইলে’ তারা বিষোদগার করছে। গণতন্ত্র না থাকলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা এভাবে অবিরাম মিথ্যাচার করতে কি পারতেন, তাদের দলের কাউকে কি জেলে যেতে হচ্ছে? গণতন্ত্র আছে বলেই, তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন। এমনকি গঠনমূলক না হয়ে বিরূপ আচরণ করছেন। মিথ্যাচারের পুরনো ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে অবাধ মিথ্যাচার অপরদিকে গণতন্ত্র নেই বলে তারস্বরে মিথ্যাচার করছেন, যা বিএনপির স্বভাব সুলভ দ্বিচারিতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের অন্ধ সমালোচনা এখন বিএনপির রোজনামচা। তিনি বলেন, করোনা একটি বৈশি^ক সংকট। এ সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি বন্যাদুর্গত ও সুপার সাইক্লোন আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার সফলতার সাথে কাজ করেছে এবং করে যাচ্ছে। কূটনীতিকরা প্রতিলকূতার ¯্রেোত মাড়িয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার ধারা প্রশংসার সাথে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। অপরাদিকে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি এসময় সড়কের উন্নয়নে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়ে বলেন, সড়ক নষ্ট থাকতে পারবে না। যে কোন মূল্যে মেরামত করতে হবে। সরকার চায় না কোন অবস্থাতেই মানুষের দুর্ভোগ হোক। এজন্য পৃথক পৃথক দায়িত্ব দেয়া আছে। আশাকরি আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সেইসঙ্গে সড়ক ও জনপথের অধীন চলমান প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করারও তাগিদ দেন মন্ত্রী। বলেন, কাজ নিয়ে কোন অযুহাত শুনবো না।
×