সংস্কৃতি ডেস্ক্ ॥ সরকার প্রতিবছর কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দিয়ে থাকে। সম্প্রতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া সিনেমার নাম ঘোষণা করা হয়। এই তালিকায় ‘হৃদিতা’ নামে সিনেমার নাম রয়েছে। কিন্তু সিনেমাটি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন জাদুরকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার চিত্রপ্রযোজক মোঃ মিজানুর রহমান। অনিয়ম এবং অনুদানের শর্ত ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘হৃদিতা’ ছবির প্রযোজককে আইনী নোটিস দেয়া হয়েছে রবিবার। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ছবির অনুদান বাতিল ও শূটিংসহ যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিতের জন্য তথ্য সচিব এবং ছবি সংশ্লিষ্ট নয়জনকে নোটিস দিয়েছেন জাদুরকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার মোঃ মিজানুর রহমান। তার পক্ষে আইনী নোটিসটি পাঠিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী।
কিছুদিন আগে ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় চিত্রনায়িকা পূজা চেরি ও এবিএম সুমন। অভিযোগের সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হয় পূজার সঙ্গে। এক প্রশ্নের জবাবে পূজা বলেন, গল্পটি আমার কাছে ভাল লেগেছে। তাছাড়া আনিসুল হক স্যারের গল্প, সব মিলিয়ে ছবিটি করার আগ্রহ দেখাই। অভিযোগ ও নোটিসের ব্যাপারে আমি অবগত নই। অনুদানের ছবি বলেই ছবিটি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। যদি ছবির অনুদান বাতিল হয় তাহলে আমি ছবিটি করব না। সাইনিং মানি ফেরত দেব। বিতর্কিত কোন চলচ্চিত্রে কাজ করব না। শুধু ‘হৃদিতা’ নয় কখনই বিতর্কিত চলচ্চিত্রে কাজ করব না। ছবিটি অক্টোবরের মাঝামাঝি শূটিং হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই ছবিটির কার্যক্রম স্থগিতের নোটিস পাঠানো হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ই-মেইলে পাঠানো ওই নোটিসে একই সঙ্গে হৃদিতার জন্য ইতোমধ্যে ছাড়কৃত অনুদান ফেরত এবং একটি মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।