অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকার বাইরের প্রকল্পের অফিস ঢাকায় থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সড়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পুরো ঢাকা শহর জুড়ে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসবের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? যেখানে যাই সেখানেই সড়কের অফিস, প্রকল্পের অফিস। বেইলি রোড, বনানী, গুলশান, বনানী কবরস্থানে পাশে, শ্যামলী, মিরপুর, কত প্রয়োজন? তাহলে আলাদা করে সড়ক ভবন কেন? ভবিষ্যতে প্রকল্প গ্রহণের সময় অফিসসহ অন্যান্য স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখতে হবে।
আজ রবিবার ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। এসময় অনলইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস,সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর তৃতীয় শীতালক্ষ্যা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি উদ্বোধন করলেও কাঙ্ক্ষিত গতি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ নির্মিত হচ্ছে। প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর সঙ্গে দুই কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে। সৌদি ফান্ডের অর্থছাড়ে বিলম্বসহ করোনা মহামারী এবং অন্যান্য কারণে প্রকল্পটির ধীরগতি রয়েছে। আশা করবো শম্বুক গতিতে পেয়ে বসা এ সেতুর নির্মাণকাজ এখন গতি পাবে।
মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ঢাকায় অফিস করেন। সেতু নির্মিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে, আর প্রকল্পের অফিস কেন ঢাকায়? এটিও প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বিত হওয়ার একটি কারণ। আমি আগেও বলেছি আজও বলছি। প্রকল্প এলাকায় অফিস থাকবে, ঢাকায় নয়।