অনলাইন ডেস্ক ॥ চেংডুর মার্কিন কনস্যুলেট ছাড়তে শুরু করেছেন মার্কিন কর্মীরা। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাবনতি হওয়ায় কনস্যুলেট ছাড়তে ওয়াশিংটনকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় চীন। চীনের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই রোববার কনস্যুলেট ছাড়ছেন তারা। সোমবার ওই সময় শেষ হওয়ার কথা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার কনস্যুলেট প্রাঙ্গণের প্রবেশ পথের বিপরীত দিকে ইউনিফর্ম পরা ও সাদা পোশাকের অনেক পুলিশ অবস্থান নিয়ে সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করেছে। সেখানে কেবল কনস্যুলার আর পুলিশের গাড়ি চলাচল করছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনের চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীন শুক্রবার সিচুয়ান প্রদেশে মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ সেই বিরোধ চরমে উঠার প্রমাণ দিচ্ছে।
ওয়াশিংটন বলছে, আমেরিকার মেধাস্বত্ব চুরি রোধ করতেই হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধে আদেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দফতর থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়ে এ আদেশ জারি করা হয়।
সিএনএন জানিয়েছে, বেঁধে দেয়া সময় শেষ হতেই যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট ভবন প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে মার্কিন ফেডারেল এজেন্ট ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে তারা সেখানে প্রবেশ করে।
খবরে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি কালো এসইউভি, ট্রাক, দুটি সাদাভ্যান ও একটি লকস্মিথ ভ্যান চীনা কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় সেখানে উৎসাহী দর্শক ও ক্যামেরা নিয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন বেশ কয়েকটি ইস্যুতে চীনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে। এসব ইস্যুর মধ্যে রয়েছে- বাণিজ্য, করোনাভাইরাস মহামারী, উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হংকংয়ের বিতর্কিত নতুন নিরাপত্তা আইন।
শুক্রবার মার্কিন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, টেক্সাসের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতি তদন্তে কনস্যুলেটের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। চীনা কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা গবেষকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছিলেন এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য গাইড করছিলেন।
বেশ কয়েকটি ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।