ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জন্মদিনে ৩৫ শিশুর হার্ট অপারেশনের ঘোষণা দিলেন গাভাস্কার

প্রকাশিত: ১০:২৭, ১১ জুলাই ২০২০

জন্মদিনে ৩৫ শিশুর হার্ট অপারেশনের ঘোষণা দিলেন গাভাস্কার

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতীয় ক্রিকেটের প্রথম লিজেন্ড যদি বলা হয়, তাহলে তিনি সুনিল গাভাস্কার। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শকারী ব্যাটসম্যানই হলেন তিনি। সেই সুনিল গাভাস্কারের ৭১তম জন্মদিন চলে গেলো শুক্রবার। এদিন ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক ঘোষণা দিলেন ৩৫জন হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুর হার্টে অপারেশনের খরচ বহন করবেন তিনি। ভারতের খড়গড়ে অবস্থিত শ্রী সত্য সাই সঞ্জিভানি হাসপাতালের চাইল্ড হার্ট কেয়ার সেন্টারে এই অসহায় ৩৫ শিশুর হার্ট অপারেশনের স্পন্সর হওয়ার ঘোষণা দেন সুনিল গাভাস্কার। ওই হাসপাতালের চাইল্ড হার্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন অনেক শিশু রয়েছে যাদের বাবা-মা’র পক্ষে সম্ভব নয় অপারেশনের খরচ বহন করা। মূলতঃ সেই শিশুদেরই দায়িত্ব নিলেন সুনিল গাভাস্কার। গত বছর নিজের ৭০তম জন্মদিনেও একই ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এবার আবারও সেই একই কাজ করার ঘোষণা দেন গাভাস্কার। আর ৩৫ সংখ্যাটি বেছে নেয়ার অর্থ হলো, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৩৫টি (৩৪টি টেস্টে এবং ১টি ওয়ানডেতে)। টাইম অফ ইন্ডিয়াকে গাভাস্কার বলেন, ‘অনেকগুলো ক্ষেত্র আছে যেগুলোতে নজর দেয়া প্রয়োজন। কবে শিশুরাই হলো এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা হচ্ছে প্রতিটি পরিবারের আনন্দ, সুখ, দুঃখ সব কিছুর উৎস এবং তারাই হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ।’ কোন বিষয়টা তাকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে? জানতে চাইলে গাভাস্কার বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, ভারতে নবজাতক শিশুদের হৃদরোগটা অনেক বেশি কমন। প্রচুর শিশুর জন্ম হয় এই রোগ নিয়ে। এদের মধ্যে অনেকেরই সৌভাগ্য হয় না টিকে থাকার। কারও কারও ক্ষেত্রে চিকিৎসাই জোটে না। তাদের অধিকাংশই খুব দরিদ্র। হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশনের হয়েও আমি কাজ করেছি। যারা শত শত শিশুর এ ধরনের সমস্যায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং জীবন রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে। শ্রী সত্য সাই সঞ্জিভানি হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ সেন্টার নয়া রায়পুর, পালওয়াল, হরিয়ানা, খড়গড় এবং নাভি মুম্বাইয়ের অসহায় শিশুদের বিনা খরচে এই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের মোটো’ই হলো ‘অনলি ডিল, নো বিল।’ গাভাস্কার জানিয়ে দেন, ‘একজন শিশুর জীবন বাঁচানোর পর তার পরিবারের মুখে যে হাসি দেখা যায়, সেটাই আমাদের কাছে অনেক বেশি আনন্দের, অনেক বেশি পাওয়ার।’
×