ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কৃষিপণ্য রফতানিতে কানাডার সহায়তা চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ৮ জুলাই ২০২০

কৃষিপণ্য রফতানিতে কানাডার সহায়তা চায় বাংলাদেশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশেষ করে দানাদার জাতীয় খাদ্যে। সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করে লাভবান করা। আর এজন্য প্রয়োজন এগ্রো-প্রসেসিং ও কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশ এই দুইক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। এগ্রো-প্রসেসিং যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিপণ্যের রফতানিতে কানাডার সহায়তা কামনা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্ম) কানাডার কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ম্যারি-ক্লদে বিবেউয়ের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বৈঠকে দুদেশের কৃষিখাত, এগ্রো-প্রসেসিং এবং ট্রেড নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব এ সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষপের ফলে কৃষিক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে তা তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশেষ করে দানাদার জাতীয় খাদ্যে। সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করে লাভবান করা। আর এজন্য প্রয়োজন এগ্রো-প্রসেসিং ও কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশ এই দুইক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সেজন্য এগ্রো-প্রসেসিং যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিপণ্যের রফতানিতে কানাডা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে। ড. রাজ্জাক বলেন, কানাডা বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতার পর থেকেই দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় আছে। কানাডায় মৌসুমি কৃষি শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষি ডিপ্লোমাধারী প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মৌসুমি ও অস্থায়ী ভিত্তিতে এসব কর্মীকে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কানাডা নিতে পারে। এতে দুদেশই উপকৃত হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক এবং টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন কৃষিমন্ত্রী। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক কানাডাকে বাংলাদেশ থেকে চাল নেয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া কৃষিমন্ত্রী কানাডায় আম রফতানির ব্যাপারে আগ্রহ ব্যক্ত করেন। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করে কানাডার কৃষি ও কৃষিখাদ্য মন্ত্রী ম্যারি ক্লদে বিবেউ বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় আছে। দুদেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কৃষি শ্রমিক নেয়া, চাল ও আম আমদানির বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে। এ সময় তিনি এগ্রো-প্রসেসিং ও কৃষিপণ্যের বাজারজাতে প্রযুক্তিগত সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশকে কৃষি গবেষণা প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহায়তারও আশ্বাস প্রদান করেন কানাডার কৃষিমন্ত্রী। এ অনলাইন বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
×