ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

‘ক্ষতিকারক’ জীবাণুনাশক টানেল স্থাপনের বিতর্কিত নির্দেশ

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১৯ মে ২০২০

‘ক্ষতিকারক’ জীবাণুনাশক টানেল স্থাপনের বিতর্কিত নির্দেশ

বিভাষ বাড়ৈ ॥ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় সব কমিটিকে পাশ কাটিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একের পর এক অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নতুন জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্তি। এবার উদ্বেগের কারণ সরকারী অফিসে [‘ক্ষতিকারক জীবাণুনাশক টানেল’ [স্থাপনের বিতর্কিত আদেশ। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, সকল উন্নত দেশ, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতই কেবল নয় খোদ দেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর যেখানে জীবাণুনাশক টানেলকে ক্ষতিকারক অভিহিত করে ব্যবহার বন্ধের কথা বলছে সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অফিসে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপনের আদেশ দিয়েছে। অধিদফতরের নিষেধাজ্ঞার পরেও অফিসে ক্ষতিকারক টানেল স্থাপনে মন্ত্রণালয়ের অবস্থান নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের অবস্থানকে ক্ষতিকারক অভিহিত করে বলেছেন, জীবাণুনাশক টানেল উপকার নয় বরং বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। টানেলে যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে, তা বিভিন্ন ধরনের রোগ এমনকি চোখ ও শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হতে পারে। দীর্ঘদিন ব্যবহারে বাড়বে আরও জটিল সব সমস্যা। টানেলের ভেতরে কয়েক সেকেন্ড সেন্সরটা কাজ করে, এটা কোনভাবেই সুরক্ষা তো দেবেই না বরং ক্ষতির কারণ হবে। টানেলের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করলে ক্ষতি হলেও প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে ‘ফলস সেফটি’র ধারণা তৈরি হবে। যা আরও একটি ক্ষতির কারণ হবে। টানেলের ভেতরে দিয়ে চলাচল করার পর মানুষ নিজেকে জীবাণুমুক্ত ভাববে। এতে ক্ষতির মাত্রা দ্বিগুণ হবে। বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের অবৈজ্ঞানিক চিন্তা থেকে মন্ত্রণালয়কে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ব্লিচিং পাউডার ও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড সলিউশন দিয়ে তৈরি রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে এ ধরনের টানেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত নয়। সরকারী অফিস খোলার জন্য গত বুধবার যে ১৩ দফা আদেশ বাস্তবায়নের কথা বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার মধ্যেই আছে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপনের কথা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে সব সরকারী অফিসে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপনের কথা বলেছে মন্ত্রণালয়। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বলা হয়, সরকারী অফিসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করার এ সুপারিশ। কেবল তাই নয়, সরকারী অফিসে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে বলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। আদেশে বলা হয়, সরকারী অফিসগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। অথচ তার আগেই ১৬ এপ্রিল দেশের সকল জেলার সিভিল সার্জনকে উদ্দেশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জারি করা এক নির্দেশনায় জীবাণুনাশক টানেল ব্যবহার করে শরীরে সরাসরি জীবাণুনাশক ছিটানো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত রাসায়নিক মানুষের ত্বক, চোখ, মুখে পড়লে ক্ষতি হতে পারে। শনিবার নানা সড়ক ও জনপদ জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা সম্পর্কিত এক নথিতে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা বিশে^র বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করে বলেছে, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা ঘরের বাইরে জীবাণুনাশক ছিটানোর পরামর্শ দিচ্ছে না। কোন ব্যক্তির ওপর কখনই জীবাণুনাশক প্রয়োগ করা উচিত নয়। বিশেষ করে ক্লোরিন ও অন্য টক্সিক রাসায়নিক উপাদান মানুষের চোখ ও ত্বকে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এ উপাদানগুলো শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতি করতে পারে। এমনকি এসব জীবাণুনাশক ছড়ানোর ফলে কোন ব্যক্তি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা একটুও কমে না। কেবল খোলা জায়গায় নয়, বাড়ির ভেতরেও জীবাণুনাশক ছড়িয়ে বিশেষ কোন লাভ নেই বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, যদি জীবাণুনাশক ছড়াতেই হয়, তাহলে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হলো, কোন কাপড়ে নিয়ে তারপর তা দিয়ে মোছা। টানেলের শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে নিয়ে সম্প্রতি কঠোর আদেশ জারি করেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও। কিছু কিছু মার্কেটে টানেল স্থাপনের পর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আদেশ জারি করেছে সরকার। করোনা মোকাবেলায় দেশটির বিভিন্ন শহরে জনবহুল এলাকায় স্যানিটাইজিং টানেল বা ডিসইনফেকট্যান্ট টানেল বসানো হয়েছিল। কলকাতায় নিউমার্কেট, রামগড় বাজার, দমদমসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি টানেল বসানো হয়। তার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সব দিক থেকে স্বয়ংক্রিয় স্প্রে করা হয়। তার মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলেই নাকি জীবাণুমুক্ত হওয়া যাচ্ছে বলে বলা হয়েছিল। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওই টানেলগুলোরও কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এতে ক্ষতি বাড়ছে বই তো নয়। অধিকাংশ টানেলেই জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয় হাইপোক্লোরাইট। যা কিন্তু আপনার চোখের তো বটেই, ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। এই রাসায়নিক যৌগ থেকে চোখ ও ত্বকে জ্বালা অনুভূতি শুধু নয়, বারবার প্রয়োগে আরও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার সম্পর্কিত বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার মতামতকেও মানুষের সামনে তুলে ধরেছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সরকার। বলা হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ‘এ্যালকোহল বা ক্লোরিন সারা গায়ে স্প্রে করে, আদতে ভাইরাস মরে না। ভাইরাস যা ঢোকার তার আগেই শরীরে প্রবেশ করে। ফলে, যে ভাইরাস শরীরের অন্দরে প্রবেশ করেছে, তাকে আমরা কিছুতেই মারতে পারব না। হু আরও জানায়, এই ধরনের স্প্রে চোখ ও মুখের মিউকাস মেমব্রেনের ক্ষতি করে’। ভারতের রাজ্য সরকারগুলো চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে টানেল ব্যবহারকে এক প্রকার নিষিদ্ধই করতে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশের বাইরে গিয়ে কেন মন্ত্রণালয় এমন অবস্থান নিল? এজন্য কি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কিংবা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত কোন জাতীয় কমিটির সুপারিশ নেয়া হয়েছিল? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডাঃ ইকবাল আর্সলান জনকণ্ঠকে বলেছেন, ‘না কোন মতামত আমরা দেইনি। কোন মতামত চাওয়াও হয়নি। আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনা করে মন্ত্রণালয় টানেল স্থাপনের কথা বলেনি।’ বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক এ মহাসচিব বলছেন, অধিদফতর টানেল ব্যবহার না করতে আদেশ দিয়েছে, ‘সেখানে মন্ত্রণালয় ব্যবহার করতে বলছে। সুতরাং এটা মন্ত্রণালয় নিজেরাই করেছে।’ স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ বেনজির আহমেদ বলেছেন, এসব টানেল প্রকৃতপক্ষে কোন কাজ করবে না, এগুলো ফলস সিকিউরিটি দেবে এবং সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হবে সেগুলো চোখ, মুখ এবং শ্বাসনালীর ক্ষতি করবে। আর শ্বাসনালীর ক্ষতি হলে সেটা করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য সহায়ক হবে। জীবাণুনাশক হিসেবে সবচেয়ে কার্যকর ব্লিচিং, যেটা শরীরের উন্মুক্ত স্থানের জন্য ক্ষতিকর। এই ব্লিচিংকে যদি শরীরে ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করা হয় সেটা তখন আবার কাজ করবে না জানিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক শাখাওয়াৎ হোসেন ফিরোজ বলেন, জীবাণুনাশক হিসেবে খুব বেশি কিছু নেই। অনেক কিছু থাকলে তার মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া যায়, কিন্তু সে অপশন এখানে নেই। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ নিয়ে কী পরিকল্পনা সেটা জানা খুব প্রয়োজন, একইসঙ্গে সেখানে কোন কেমিক্যাল ইউজ করা যাবে সেটা কারা এ্যাপ্রুভ করবে সেটাও জানা প্রয়োজন। কারণ, তা না হলে যার যার মতো করে জিনিসপত্র ব্যবহার করতে থাকবে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হবে। অধ্যাপক শাখাওয়াৎ হোসেন ফিরোজ বলেন, এসব টানেলের ভেতরে গিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত ভেবে মানুষ অন্য কোনও পন্থা নেবে না, তাতে করে করোনাতে আক্রান্তের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাবে। এটা এককথায় মানুষকে ফলস সিকিউরিটি দেবে, যেটা হুমকিস্বরূপ। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ জাহিদুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জীবাণুনাশক টানেল বসানো হচ্ছে, কিন্তু তাতে কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ক্ষতিকর দিকগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে। এই টানেল একটা ‘ফলস সিকিউরিটি’ দেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, টানেলের ভেতরে কয়েক সেকেন্ড সেন্সরটা কাজ করে, এটা কোনভাবেই সুরক্ষা দেবে না। বরং চোখসহ সরাসরি শরীরের উন্মুক্ত স্থানে সেটা ক্ষতিকারক। একইসঙ্গে এটা একটা ফলস সিকিউরিটি সেন্স দেবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুলতানা রাজিয়া বলছিলেন, এই ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে স্বল্পমেয়াদে ও দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। ব্লিচিং পাউডার জীবাণুনাশক হিসেবে কার্যকর হলেও তা সরাসরি মানুষের শরীরের সংস্পর্শে এলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। চামড়ায় জ্বালাপোড়া, ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে শুরু করে চোখের সমস্যা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হতে পারে এই ধরনের কেমিক্যালের সংস্পর্শে এলে। দীর্ঘদিন ধরে বারবার সংস্পর্শে আসতে থাকলে আরও জটিল সমস্যা তৈরি হতে পারে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ লেনিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় জীবাণুনাশক টানেলের ধারণা বাস্তবায়ন করতে গেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়তে পারে। কারণ একজন মানুষ শপিংমলে গিয়ে অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসার পর বের হওয়ার সময় টানেলের মধ্যে দিয়ে বের হয়ে এসে নিজেকে জীবাণুমুক্ত মনে করতে পারেন, যেটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং এর ফলে উল্টো বিপদ তৈরি হতে পারে। এর ফলে ওই ব্যক্তির মধ্যে ‘ফলস সেফটি’র ধারণা তৈরি হতে পারে তার মধ্যে সতর্কতা কমতে পারে। এছাড়া ব্লিচিং পাউডার ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড সলিউশন দিয়ে তৈরি রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে এ ধরনের টানেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত না হওয়ায় এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্য উল্টো ক্ষতিকর। এদিকে বিতর্ক চরমে উঠলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় কোন আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি। যদিও ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর টানেল স্থাপন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিলেও পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় তা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে অফিসে টানেল স্থাপন করা বাধ্যতামূলক নয়, কর্তৃপক্ষ চাইলে টানেল স্থাপন করতে পারে। এ কর্মকর্তা একই সঙ্গে বলেছেন, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে কিছু সরকারী অফিস এ ধরনের টানেল স্থাপন করেছে, তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে অনেক অফিসই টানেল বসানো থেকে বিরত থেকেছে।
×