অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টকে একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ১১ মার্চ বাংলাদেশের ওপর যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তা একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য। প্রকৃতপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই মানবাধিকারের কী পরিস্থিতি সেটিও বিশ্ববাসীর জানার প্রয়োজন ও অধিকার রয়েছে।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যাদের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, সেসব সংগঠন ইতোপূর্বে বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা এর আগেও বাংলাদেশ পরিস্থিতির ওপর একপেশে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের রিপোর্ট ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, রায়ও কার্যকর করেছে, বিচার কার্যক্রম চলছে। অথচ এরকম সর্বগ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এই বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) নানাভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষ হতাহত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রে প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা ওয়ারেন্টে অনেককে গ্রেফতার করে। তাদের দেশে যে পরিস্থিতি, সেটিও বিশ্ববাসীর জানার অধিকার রয়েছে এবং জানা প্রয়োজন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মুহাম্মাদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আসলাম খাঁন, আক্তার কামাল চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, লোকমানুল হক তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ফজলুল কবির গিয়াসু, গিয়াস উদ্দিন খাঁন।