নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলার মেঘনা নদীতে জাল পাতাকে কেন্দ্র করে দুই জেলে গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ১১ জেলে আহত ও রাফি (১৭) নামে এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনাটি শুক্রবার সন্ধ্যায় তজমুদ্দিন উপজেলার চরজহির উদ্দিন মেঘনার নদীর বরিশাল খাল এলাকায় ঘটেছে। আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এদিকে নিখোঁজ জেলে রফির কোন সন্ধ্যা না পাওয়ায় শনিবার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
আহত মলংচড়া ৩নং ওয়ার্ডের কামাল মাঝি সাংবাদিকদের জানান, তারা চর জহিরুদ্দিনের মেঘনা নদীর বরিশাল খাল নামক এলাকায় প্রথমে জাল পাতে । কিন্তু হঠাৎ করে তাদের ওই জাল উঠিয়ে নেয়ার জন্য ইউসুফ মাঝি’র জেলেরা চাপ সৃষ্টি করে বাধ্য করেন। তখন জাল উঠাতে দেরি হওয়ায় কামাল মাঝির জাল কেটে দেয়। এসময় জেলেরা বাধাঁ দিলে ইউসুফ মাঝি’র নেতৃত্বে রাসেল, আইয়ুব, ফারুক, ফিরোজ, রিয়াজ, ইলিয়াছ, হাফেজ, আ: হাই, তসলিম সহ ৭/৮ ট্রলারে করে একাধিক জেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কামাল মাঝির ট্রলারের জেলেদেরকে হাতুর দিয়ে বেদম মারধর করেন এবং কুপিয়ে জখম করে তাদের সাথে থাকা ৬টি টার্চ মোবাইল এবং ২টি মোবাইল সেট এবং নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় হামলায় আকতার, রুবেল, ইউসুফ, ইসমাইল, জুয়েল, মিজান, মনির, রহিম গুরুত্বর আহত হয়। এক পর্যায়ে জেলেদেরকে পিটিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে জাল এবং ট্রলার নিয়ে যায়। তখন ওই জেলেরা অন্য নৌকার জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার হতে পারলেও এবং রাফি নামের এক জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ জেলের গ্রামের বাড়ী তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচড়া ৭নং ওয়ার্ড। এদিকে উদ্ধার হওয়া জেলেদেরকে রাত ১২ টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর। এদিকে নিখোঁজ জেলে রাফি’র সন্ধ্যানে শনিবার নদীর পাড়ে তারা মাইকিং করা হয়। এ ঘটনায় কামাল মাঝি একটি মামলা করবেন বলেও জানান।
অপরদিকে জেলে ইউসুফের ভাই নুর ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সংর্ঘর্ষের সময় আমাদের ২জন জেলেও আহত হয়। আর ওদের জেলেরা নদীতে পড়ে গিয়ে বিভিন্ন নৌকায় উঠে। পরে আমরা জাল ও ট্রলার নিয়ে আসি। এগুলো আমাদের জিম্মায় আছে।
এ ব্যাপাারে তজুমদ্দিন থানার ওসি এস.এম জিয়াউল হক জানান, তারা ওই ঘটনা সর্ম্পকে জানেন না। সংর্ঘষ ও নিখোঁজের ঘটনা শনিবার বিকাল পর্যন্ত জেলেদের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ কে কোন অভিযোগ কেউ দেয়নি।