ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সীতাকুন্ডে চাঞ্চল্যকর যুবতি হত্যা মামলা ৩ আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:০৩, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সীতাকুন্ডে চাঞ্চল্যকর যুবতি হত্যা মামলা ৩ আসামী গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে চাঞ্চল্যকর যুবতি হত্যা মামলা তিন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জবানবন্ধী রেকর্ড করে আদালতে প্রেরণ করেন বলে বিষয়টি স্বীকার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ওসি ইন্টেলিজেন্ট সুমন বনিক। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো বরিশাল জেলার ভোলা থানাার ধনিয়া ইউনিয়নের কানাই নগর এলাকার ইউনুস মাতব্বরের পুত্র মো.মাহমুদুল্লাহ প্রকাশ মামুন(৩৭),নোয়াখালী সদর চৌরাস্তা বুদ্ধি নগর আন্ডারচর এলাকার মো.রফিকের পুত্র মো.জামাল(২১) ও কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষনপাড়া থানার সাহেবাবাদ এলাকার রেশন পুলিশের বাড়ির সাদন মিয়ার পুত্র মো.রাসেল(৩৫)। অজ্ঞাতনামা মহিলা হলো চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গনীয়া থানার শীলক নাটওয়ী টিলা এলাকার মো.আমির হামজার মেয়ে রিমা বেগম(২৫)। বর্তমানে তারা নগরীর পাশলাইশ আমিন জুট মিলস্ আমিন কলোনি বেলতলি এলাকায় বসবাস করতেন। জানা যায়,গত জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ উপজেলার ১০নং সলিমপুর ফৌজদারহাট স্কুল সংলগ্ন রেললাইন এলাকা থেকে অজ্ঞাতনাম এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে মডেল থানা পুলিশ। এরপর সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেন। পুলিশ লাশটি সুরতহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুপের করা হত্যা ও গণ ধর্ষণ মামলার পর পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত মহিলার লাশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করেন। পওে দীর্ঘ এক মাস দশ দিন পুলিশ নিরলস পরিশ্রম করে প্রথমে পুলিশ বরিশাল জেলার ভোলা থানা এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করেন। এরপর স্বীকারোক্তি মতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়োজিত বোস্তামি এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করেন এবং সীতাকুন্ড উপজেলার সলিমপুর আবদুল্ল্যাহ ঘাটা এলাকা থেকে জামালকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার কৃত সকল আসামী রিমাকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা করার বিষয়টি বিজ্ঞ আদালকে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ড থানার ওসি মো.ফিরোজ হোসেন মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘সি.আই.ডি সহযোগিতায় আমরা অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের পরিচয় পাওয়ার পর মামলা তদন্ত কর্মকর্তা একাধিকবার তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলেছে এবং মামলার বিষয় সম্পর্কে ধারণা করে প্রথমে বরিশাল থেকে মামুনকে গ্রেফতার করে। এরপর স্বীকারোক্তিমতে অন্য আসামিদের গ্রেফতার করেন। মুলত তারা মেয়েটি প্রথমে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং এরপর হত্যা করেন। যেটা বিজ্ঞ আদালতে তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।”
×