নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ জেলা শহরের মধ্যমাংশে এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মোট নয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দু’টি ব্রীজের ৫০ ফুটের মধ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিয়মিত অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর সেই বালু ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণাধীন ব্রীজের কাজে। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে নির্মাণাধীন দু’টি ব্রীজ ও পার্শ্ববর্তী সদর মুক্তিযোদ্ধা ভবন, স্কুল, কলেজসহ বড় বড় পাকা স্থাপনাগুলো। অথচ নির্মাণাধীন ব্রীজের নির্মাণ কাজ পরিচালনার জন্য নিযুক্ত স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধির তা চোখেই পড়ছে না।
গত এক বছর ধরে শহরের টাঙ্গন নদী এবং বালিয়াডাঙ্গীর তীরনই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে উত্তোলন করা বালু। স্থানীয়রা জেলা ও প্রশাসনককে বিষয়টি মৌখিক ও লিখিত ভাবে অবগত করার পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে বদলী হওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত বছরের মাঝামাঝিতে দুটো ড্রেজার মেশিন জব্দ করে থানায় দিলেও অজ্ঞাত কারণে সেই মেশিনগুলো পুনরায় তীরনই নদীতে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
জেলা এলজিইডি জানায়, শহরের সরকারি কলেজ ও কলেজপাড়া যাওয়ার পথে টাঙ্গন নদীতে থাকা পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১২০মিটার এবং টাকা ব্যয়ে বালিয়াডাঙ্গী জিসি ভায়া বাদামবাড়ী হাট বাজার তীরনই নদীর উপর প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০ মিটার দু’টি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে। আর সেই নির্মাণ কাজের বালু ব্যবহার করা হচ্ছে উভয় ব্রীজের ৫০ ফুটের মধ্য থেকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে উভয় নদী থেকে নিয়মিত বালু উত্তোলন করছে। তবে প্রশাসন থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে কোন ধরণের অভিযান না থাকার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু ব্যবসায়ীরা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে শ্রীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে ।
জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্ম্মন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন ব্রীজের পার্শ্বে বালু উত্তোলন মারাত্মক ঝুঁকি। শ্রীঘ্রই এব্যাপারে ব্যবস্থা ্গ্রহণ করবেন বলে উভয়েই জানান।