ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে শত কোটি টাকা নিয়ে নাভানা-মোনাভী কোম্পাণী উধাও ॥ মামলা

প্রকাশিত: ০৩:০৫, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

পটুয়াখালীতে শত কোটি টাকা নিয়ে নাভানা-মোনাভী কোম্পাণী উধাও ॥ মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অন্তত শত কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে নিউ নাভানা ও মোনাভী অল বাংলাদেশ নামে দুইটি কোম্পাণী। অধিক লভ্যাংশ দেয়ার প্রলভন দেখিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার বোকার যুবক-যুবতীদের টাকা লুটে নেয় দুটি ভূয়া কোম্পানী। এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে হাজেরা বেগম নামের একজন মামলা দায়ের করেছে। এতে ৪ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে আমানত ফেরৎ পাওয়ার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে শত শত নারী পুরুষ মানবন্ধন করেছে। জানাযায় পটুয়াখালীর নতুন বাস টার্মিনালস্থ পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রিয়াজ মৃধার মালিকানাধীন ভবন ভাড়া নিয়ে ২০১৮ সালে চক্রটি মোনাভী অল বাংলাদেশ নামে একটি কোম্পাণীর সাইনবোর্ড লাগিয়ে অধিক মুনাফার লোভনিয় অফার দিয়ে আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম শুরু করেন। কারো কারো কাছ থেকে এক লাখ করে টাকা নিয়ে মাসিক ২০ হাজার টাকার বেতন দেয়ার সুযোগ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করে। এদের সাথে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন এলাকায় স্থানীয় নাসির উদ্দিন সবুজ, কুদ্দুস, বাদল, রহিম, আমিনুল, বাদল মোল্লাসহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে নিউ নাভানা কোম্পানী নামে আরো একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম শুরু করে। পর্যায় ক্রমে তাদের আর্থিক লেনদের কার্যক্রম জেলা-উপজেলা গুলোতে ছড়িয়ে পরে। কিন্তু ১৪ জানুয়ারি পটুয়াখালী নতুন বাস টার্মিনালস্থ মোনাভী কোম্পাণী কার্যালটি তালাবদ্ধ দেখে উধাও হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরে। পটুয়াখালী সদর থানায় হাজেরা বেগমের দায়ের হওয়া মামলায় উল্লেখ করেন-তার মেয়ে স্বামীকে মোনাভী কোম্পাণীর অফিস কার্যালয়ে চাকুরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামানত হিসেবে অভিযুক্তরা সাড়ে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে একই ভাবে একাধিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাকুরি এবং অধিক লভ্যাংশ দেয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তত ৭-৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। চাকুরি এবং লভ্যাংশ কোনটাই ফেরত দেয়নি তারা। হটাৎ ১৩ জানুযারী কার্যালয়টি তালা বদ্ধ দেখে পুলিশকে অবহিত করে ক্ষতিগ্রস্থ্যরা। ওই মামলায় বাকি আসামী হলো-টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের আকবর আলীর ছেলে জামাল হোসেন মুকুল। কেওয়াবুনিয়ার বেলাল হোসেন। কলাতলা এলাকার হাবিবুর রহমান ফারুক, দেলোয়ার হোসেন। মোঃ আনিছুর রহমান আনিছ, এনামুল হক আকাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ওই মামলায় ১৮ থেকে ২০ জনকে আসামী করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের শেষ দিকে দিনাজপুর থেকে এই মোনাভী কোম্পাণী এলাকা থেকে একই ভাবে কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে পটুয়াখালীতে এসে আবার এ ব্যবসা শুরু করে।
×