অনলাইন ডেস্ক ॥ আন্ত-কোরিয়ান সীমান্তবর্তী ইমজিন নদীর পানিতে মৃত শূকরের রক্ত মিশে নদীটির পানি লাল হয়ে গেছে। খবর যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির।
সম্প্রতি আফ্রিকান সোয়াইন ফেভার (এএসএফ) সংক্রমণ ঠেকাতে ৪৭ হাজার শূকর হত্যা করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ।
ভারী বর্ষণের ফলে একটি সীমান্তবর্তী সমাধিস্থল থেকে এসব মৃত শূকরের রক্ত ইমজিন নদীর একটি শাখার পানিতে মিশে যায়।
এএসএফ (আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর) অত্যন্ত সংক্রামক ও অনিরাময়যোগ্য। এই জ্বরে আক্রান্ত শূকরের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি, কিন্তু এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক নয়।
এই রক্তের কারণে এএসএফ ছড়ানোর কোনও আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাণীগুলোকে হত্যার আগে জীবাণুমুক্ত করা হয়।দেশটিতে গত সপ্তাহের শেষে এই শূকর জবাইয়ের অভিযান পরিচালিত হয়। মৃত শূকরগুলো ট্রাকে করে আন্ত-কোরিয়ান সীমান্তবর্তী সমাধিস্থলটিতে ফেলা হয়।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় এএসএফ ধরা পড়েছে। ডিমিলিটারাইজড জোন পার উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসা শূকরের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ায় মে মাসে প্রথম এএসএফ ধরা পড়ে। এরপর এটির সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সীমান্তের বেড়া দেয়াসহ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উত্তর কোরিয়া।