অনলাইন ডেস্ক ॥ আজ থেকে ২৫ বছরেরও বেশি আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নির্দেশে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন আহমেদাবাদের স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরা। তার মতে, বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু করলে তা শেষ হতে লাগবে আড়াই থেকে তিন বছর।
৯ নভেম্বর (শনিবার) দেশটির প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতির ভিত্তিতে বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের আদেশ দেন।
মন্দিরের প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ। আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মন্দিরের গোলাপি স্যান্ডস্টোন আসছে রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুর এলাকা থেকে। এই একই পাথর দিয়ে তৈরি হয় গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরের অক্ষরধাম মন্দির। স্থপতি সেই সোমপুরা। অনেকেই হয়তো জানেন না যে সোমপুরার হাতে তৈরি হয়েছে শতাধিক মন্দির, যাদের মধ্যে রয়েছে লন্ডনের নিসডেন এলাকার সুবিখ্যাত স্বামীনারায়ণ মন্দির, যা অনেকের মতে বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির।
৮ নভেম্বর (শুক্রবার) ৭৭ বছর পূর্ণ করলেন সোমপুরা। একই দিনে জন্মেছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানী, যার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে রাম মন্দির নির্মাণ অভিযান। কিন্তু শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর থেকে জন্মদিনে পাওয়া ফুলের তোড়ার দিকে তাকানোরও সময় নেই সোমপুরার। বরং শনিবার তার বাড়িতেই অবস্থিত দফতরে গিয়ে দেখা যায়, চতুর্দিকে ছড়িয়ে আছে নানারকমের ম্যাপ, থ্রি-ডি চিত্র, এবং রাম মন্দিরের একাধিক প্রতীকী ছবি।
সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে সোমপুরা বলেন, এই রায়ের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, উভয়পক্ষের প্রতিই সুবিচার করা হয়েছে।
স্থাপত্যবিদ্যায় কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেয় সোমপুরার। তার ছেলে আশিসের দাবি, সোমপুরার শিক্ষাগুরু ছিলেন তার পিতা, পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত স্থপতি প্রভাশঙ্কর। যার হাতে তৈরি হয় সোমনাথ মন্দির। আশিস জানান, ১৯৮৯ সালে প্রথম রাম মন্দিরের নকশা তৈরি করেন সোমপুরা এবং ছ’মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ করে ফেলেন মন্দিরের ডিজাইন।