ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর ভাতা পেল সেই ছয় প্রতিবন্ধী

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ৩ নভেম্বর ২০১৯

জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর ভাতা পেল সেই ছয় প্রতিবন্ধী

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নান্দাইল উপজেলার সেই ছয় প্রতিবন্ধীর ভাতার ব্যবস্তা হল। উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে তাদের এই ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে শেরপুর গ্রামে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন এই ছয় প্রতিবন্ধীদের হাতে ভাতার কার্ড তুলে দেন। কার্ড হস্তান্তরের সময় এমপি তুহিন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রহিম সুজন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ইনছান আলী, শেরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব উদ্দিন মন্ডল প্রমূখ। উল্লেখ্য, আচারগাঁও ইউনিয়নের সুতারাটিয়া গ্রামের দরিদ্র গৃহবধু সমলা খাতুন (৭২) ও তার স্বামী পরিত্যক্তা প্রতিবন্ধী মেয়ে শিল্পী আক্তার (৩৫) দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনেকবার বলার পরও সরকারি কোন ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়নি। পরে গত ২৯ অক্টোবর জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘কোন ভাতাই পান না প্রতিবন্ধী মা-মেয়ে’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ইনছান আলীর নজরে আসে। পরে তিনি এই প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করে এই মা-মেয়ের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেন। অপরদিকে শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের গৃহবধু সফুরা খাতুন (৫৫) সহ তার তিন পুত্রের হঠাৎ জ¦রে শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে শরীর শুকিয়ে হাড়ের সঙ্গে মিশে যায়। এ অবস্থায় তাদের শরীর অবশ হয়ে পরে। সম্পদ বলতে সফুরার স্বামীর পৈত্রিক ভিটে ৩শতক জমির ওপর একটি ছাপড়া ঘর রয়েছে। তাই ভিক্ষা করেই চলতো তাদের সংসার। পরে গত ২১ জুন এ নিয়ে জনকণ্ঠ পত্রিকায় চার প্রতিবন্ধীকে নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইনছান আলী বলেন, আমি জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে এই প্রতিবেদকের মুঠোফোনের নাম্বার নেই। পরে তাঁর সাথে কথা বলে সংবাদ প্রকাশের দিন রাতে আচারগাঁও ইউনিয়নের সুতারাটিয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী মা-মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাদের ভাতার বিষয়ে আশ^স্থ্য করে আসি। তারই প্রতিশ্রুতিতে আজ (রবিবার) সমলা ও তাঁর কন্যা শিল্পীকে প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়া হয়েছে। আর সফুরা তাঁর তিন পুত্র আবুল কালাম, রবি ইসলাম, রতন মিয়াকে প্রতিবন্ধী কার্ড এবং স্বামী আব্দুল বারেককে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রহিম সুজন বলেন, এই প্রতিবন্ধী দুটি পরিবারের জন্য কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের মধ্যে রতন ও কালামকে বিনা লাভে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। পরিবার দুটিকে সরকারী ভাবে ঘর ও খাস জমির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
×