ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি ॥ রাঙা

প্রকাশিত: ০২:১৫, ২ নভেম্বর ২০১৯

সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি ॥ রাঙা

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, দক্ষ চালক তৈরি ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। যদি দুর্ঘটনার পর চালক কারাগারে যায়, তারা যদি জামিন না পায়, তাহলে চালক সংকট আরো প্রকট হবে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এনায়েত উল্লাহ বলেন, যেখানে সাত-আট লাখ চালক দরকার, সেখানে এ ধারা আরো সংকট তৈরি করবে। এছাড়াও বাস মালিকদের বড় অঙ্কের জরিমানা পরিবহন খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে। তিনি বলেন, এ খাতের সেবা বাড়াতে হলে মালিককে বড় অঙ্কের জরিমানা করা যাবে না। এটা করলে খাত বাধাগ্রস্ত হবে। বড় অঙ্কের জরিমানা আইন বাস্তবায়নেও বাধাগ্রস্ত করবে। তিনি আরো বলেন, আইনের সংশোধনের বিষয়ে আমরা কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। অন্য সব স্টেকহোল্ডারও প্রস্তাবনা দেবেন। আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেসব সমস্যা দেখা দেবে, সেটা সরকারকে পরামর্শ দেবেন, সংশোধন করতে চাইলে সংসদে আবার যেতে হবে। সবকিছুর পর সংশোধন হতে পারে। আইন শুধু আমাদের একার জন্য না, যারা মোটরযান ব্যবহার করেন, তাদের সবার জন্য মন্তব্য করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, আইনে বিধিমালা নেই, এটা না করলে আইন বাস্তবায়ন কঠিন। এটা কার্যকর করতে হলে সময় লাগবে। তিনি বলেন, আইন বাস্তবায়নে সবচেয়ে জরুরি হলো, সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জনগণকে সচেতন করলে আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। আইনে যেমন ইতিবাচক দিক আছে, কিছু নেতিবাচকও দিক রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, এ আইন শুধু বাসের জন্য নয়, সবার জন্য। এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা এ আইনকে পূর্ণ সমর্থন করছি। আইন মেনে গাড়ি চালানোর জন্য চালকদের আহবান করছি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা বলেন, সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। বিধিমালা প্রণয়ন ব্যতীত এ আইনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা পাবে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিধিমালা চূড়ান্ত করা প্রয়োজন। রাঙা বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মালিক-শ্রমিকরা যাতে অকারণে হয়রানির শিকার না হয় এবং আইনের অপপ্রয়োগ না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। দুর্ঘটনা মামলা যাতে ৩০৪ (খ) ধারার পরিবর্তে ৩০২ ধারায় দায়ের করা না হয়। তবে তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে, চালক কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হত্যা করেছে, সেক্ষেত্রে ৩০৪ (খ) ধারা ৩০২ ধারায় স্থানান্তর হলে আপত্তি নেই। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন।
×