স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ও নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর ॥ রাজশাহীতে নির্বাচনী সহিংসতায় রবিবার আহত আওয়ামী লীগ নেতা সোমবার সকালে মারা গেছে। ফরিদপুরে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় শতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট হয়। সংসদ নির্বাচনী ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর বিজয়ের খবর পাওয়ার পর থেকেই ফরিদপুরের ভাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে এবং সদরপুরে চরমানাইতে তাণ্ডব শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হলে সোমবার দুপুরে বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ এ তা-বে জড়িত সন্দেহে একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে থানায় কোন মামলা করা হয়নি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গার হামিরদি ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে গত রবিবার রাত ৯টার দিকে স্বতন্ত্র সাংসদের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ৫/৬টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। একই সময় উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বিবিরকান্দা গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খসরু মুন্সীর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলা হয় এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে। রাত ১০টার দিকে আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে ৪/৫টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। রাতে ভাঙ্গা পৌরসভার কৈডুবি ও সদরদী মহল্লায় আওয়ামী লীগ সমর্থক আতিকুর শেখ, দেলোয়ার শেখ, আবু শরিফ, আসমত শেখ এবং মনিরুলের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে চুমুরদি ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামে ইয়াদ আলী ফকির ও গফুর শেখের বাড়ি হামলা করে ভাংচুর করা হয়। সকাল ৭টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লার রশিদ মিয়ার বাড়ি ও গ্যারেজ ভাংচুর করা হয়। সকালে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মাইঝাইল গ্রামে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ভাংচুরের ঘটনা ঘটে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের খাটরা ও কালামৃধা ইউনিয়নের আটরা ভার্ষা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভাংচুর করা হয় ভাঙ্গা পৌরসভার কোর্টপাড় এলাকার বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হকের বাড়ি। এছাড়া সদরপুর উপজেলার চরমানাই ইউনিয়নের চরমানই গ্রামে সকালে কয়েকটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ইউনিয়নে দুই পক্ষের টানটান উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ অভিযান করে স্বতন্ত্র সাংসদ সমর্থক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হোসেন ও আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ইসমাইল হোসেন (৪৯) নামে আরও এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজশাহীতে মোট তিনজনের মৃত্যু হলো। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।