স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্মেলনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, বাজেটে জলবায়ু ঝুঁকি মোবালিায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। একই সাথে জলবায়ু মোকাবিলায় সক্ষম অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বারোপ করেন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলোর ৯টি নেটওয়ার্ক সংস্থা এই দাবি জানিয়েছে।
বৃহষ্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা সাধারণ বাজেটকে জলবায়ু বাজেট হিসেবে উপস্থাপন করায় সরকারের সমালোচনা করেন। তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু অর্থনীতি নিশ্চিত করতে এবং উপকূলবাসীর অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে সরকারকে বাজেটে পর্যাপ্ত এবং অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান।
ইক্যুইটিবিডি’র প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল দাবি উপস্থাপন করেন সৈয়দ আমিনুল হক। বক্তব্য রাখেন ফোরাম ফর এনভায়রনমেন্ট জার্নলিস্ট ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, বাংলাদেশ পিপলস নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর মৃণাল কান্তি এবং বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম।
সাংবাদিক কামরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে যে বরাদ্দ বাজেটে রাখা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তা অপর্যাপ্ত। বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে সুবিধা নিতে সরকার তার ন্যাশনাল ইমপিমেন্টিং এনটিটিস-এর দক্ষতা বাড়াতে সংকট মোকাবেলা করছে। বৈশ্বিক তহবিলের সুবধিা নিতে তিনি সরকারকে এনআইই-এর দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করাই বড় সাফল্য নয়, সাফল্য নির্ভর করবে কত টাকা জলবাযু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করা হলো তার উপর। ঘুণিঝড় আইলা এবং সিডর প্রধান বেড়িবাধগুলোর ক্ষতি করেছে, জলোচ্ছাস মোকাবেলায় আমাদেরকে এসব বেড়িবাথ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। লবণাক্ত পানির প্রবেশ আমাদের জন্য আকেটি সমস্যা। বাজেটে সরকারকে এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।
রেজাউর করিম চৌধুরী বলেন, জলবায়ু বিপন্নতা নিরসন এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাড়াতে বাজেটে নতুন কোনও বরাদ্দ নেই। তিনি সরকারকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে, যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আর্থিক বরাদ্ধসহ নিজস্ব জলবায়ু পরিবর্তন কৌশলপত্র গ্রহণের পরামর্শ দেন। জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য তিনি সুপারিশ করেন।
সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে সরকারের প্রতিবেদন তৈরির উদ্যোগ প্রশংসনীয়, কিন্তু বাজেটে জলবায়ু অর্থায়নে দেখানো ১৮,৯৪৮ কোটি টাকা আসলে সাধারণ উন্নয়ন বাজেটেরই অংশ। এ প্রসঙ্গে আয়োজকদের পক্ষ থেকে তিনি ৪ দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে সাধারণ বরাদ্দের বাইরে অতিরিক্ত ও পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় করা, প্রবৃদ্ধিমুখী অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষম অবকাঠামো নির্মাণকে আলাদাভাবে দেখতে হবে এবং জলবায়ু বিপন্ন মানুষকে রক্ষায় সে আলোকেই বরাদ্দ দেয়া।