ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আরামবাগেই স্বস্তি কোচ মারুফুল হকের

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আরামবাগেই স্বস্তি কোচ মারুফুল হকের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোটি টাকার অফার ফিরিয়ে পেশাদরিত্বের প্রমাণ দিলেন কোচ মারুফুল হক। সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোটি টাকার অফার ফিরিরে দিয়ে আরামবাগেই থাকছেন দেশের ফুটবলের আলোচিত এই কোচ। তবে এখনও কোচদের মূল্যায়নে পেশাদারিত্ব আসেনি বলে মনে করেন কোচরা। ফুটবলারদের উচ্চমূল্যের কাছে নামমাত্র পারিশ্রমিক পাচ্ছেন কোচরা। তবে ব্যতিক্রমও আছে। আর তা হচ্ছেন মারুফুল। কোটি টাকার অফার ফিরিয়ে পেশাদারিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন দেশের একমাত্র উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুল হক। ক’দিন আগেই স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের শিরোপা জিতিয়েছেন আরামবাগকে। অথচ এই পেশাদারিত্বের বড্ড অভাব দেশের ফুটবলারদের। কিন্তু তারাই পাচ্ছেন আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক। সেখানে অনেকটাই উপেক্ষিত কোচরা। একসময় কোচরা পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করতেন ক্লাবে। কিন্তু এখন সম্মানের সঙ্গে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন দেশীয় কোচরা। কিন্তু ফুটবলারদের মতো উচ্চমূল্য পাচ্ছেন না দেশীয় কোচরা। গত মৌসুমে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া দেশীয় কোচ সাইফুল বারী টিটু। চট্টগ্রাম আবাহনী পুরো মৌসুমে ব্যয় করেছিল ১০ কোটি টাকা। সেখানে কোচের পারিশ্রমিক ৩৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তালিকায় আছেন মারুফুল হক। পেয়েছিলেন ৩৫ লাখ টাকা। তার ক্লাব আরামবাগের মোট ব্যয় ৪ কোটি টাকা। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ২০১৭-১৮ মৌসুমে খরচ করেছে সাড়ে সাত কোটি টাকা। ক্লাবটির কোচ শফিকুলের ইসলামের পারিশ্রমিক পেয়েছেন ৩১ লাখ টাকা। আর আড়াই কোটি টাকার রহমতগঞ্জ এমএফএস কোচ কামাল বাবু পেয়েছিলেন ২০ লাখ টাকা। দেশীয় কোচদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আয়োজন করছে গ্রেডভিত্তিক কোচেস প্রোগ্রাম। যাতে করে চাকরির বাজারে চওড়া না হোক অন্তত যোগ্য পারিশ্রমিক যেন পান কোচরা।
×