ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৭জন আইজিপি নিযুক্ত

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৭জন আইজিপি নিযুক্ত

শংকর কুমার দে ॥ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পর্যন্ত ২৭জন পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশের প্রধানের (আইজিপি) দায়িত্ব পালন করেছেন। ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি ২৮তম আইজিপি নিযুক্ত হলেন। আইজিপি পদটি দীর্ঘদিন যুগ্মসচিব পদ মর্যাদার (গ্রেড-২) ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইজিপি পদটি তিন তারকা পদে উন্নীত করেছেন। আইজিপিরা এখন (গ্রেড-১) সিনিয়র সচিব মর্যাদার কর্মকর্তার মর্যাদা ভোগ করেন। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানান, স্বাধীন বাংলাদেশে মুজিব নগর সরকারের সময় আইজিপি ছিলেন এ খালেক। তিনি ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ২৩ থেকে এপ্রিল ১৯৭৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ রহিম ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এএইচএম নুরুল ইসলাম ১৯৭৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে-নবেম্বর ২১, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত, হোসেন আহমেদ ২১ নভেম্বর, ১৯৭৫ থেকে ২৬ আগস্ট আগস্ট ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত, এবিএমজি কিবরিয়া ২৬ আগস্ট ১৯৭৮ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ সাল পর্যন্ত, এএমআর খান ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ থেকে ৩১ -জানুয়ারি ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। ইএ চৌধুরী ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। মোঃ হাবিবুর রহমান ১ জানুয়ারি ১৯৮৬ থেকে ৯ জানুয়ারি ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত। এ আর খন্দকার ৯ জানুয়ারি ১৯৮৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত। তৈয়ব উদ্দিন উদ্দিন আহমেদ ২৮ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ থেকে ৮ জানুয়ারি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত। এম এম চৌধুরী ৮ জানুয়ারি ১০৯১ থেকে ২০ জুলাই ১৯৯১ সাল পর্যন্ত। এম ইনামুল হক ২০ জুলাই ১৯৯১ থেকে ১৬ অক্টোবর ১৯৯১ সাল পর্যন্ত। এএসএম শাহজাহান ৮ জুলাই ১৯৯২ থেকে ২২ এপ্রিল ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। এম আজিজুল হক ২২ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১৬ নবেম্বর ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। মোঃ ইসমাইল হোসেইন ১৬ নবেম্বর ১৯৯৭ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত। এওয়াইবি সিদ্দিকী ২৭সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ থেকে ৭ জুন ২০০০ পর্যন্ত। মোহাম্মদ নুরুল হুদা ৭ জুন ২০০০ থেকে ৬ নবেম্বর ২০০১ সাল পর্যন্ত। মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী ১৬ নবেম্বর ২০০১ থেকে ২২ এপ্রিল ২০০৩ সাল পর্যন্ত। শহিদুল হক ২২ এপ্রিল ২০০৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০০৪ সাল পর্যন্ত। আশরাফুল হুদা ১৫ ডিসেম্বর ২০০৪ থেকে ৭ এপ্রিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত। মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন ৭ এপ্রিল ২০০৫ থেকে ৭ মে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। আব্দুল কাইয়ুম ৭ মে ২০০৫ থেকে ৬ জুলাই ২০০৬ সাল পর্যন্ত। আনোয়ারুল ইকবাল ৬ জুলাই ২০০৬ থেকে ২ নবেম্বর ২০০৬ সাল পর্যন্ত। খোদা বক্স চৌধুরী ২ নবেম্বর ২০০৬ থেকে ২৯ জানুয়ারি ২০০৭ সাল পর্যন্ত। নুর মোহাম্মদ ২৯ জানুয়ারি ২০০৭ থেকে ৩১ আগস্ট ২০১০ সাল পর্যন্ত। হাসান মাহমুদ খন্দকার ৩১ আগস্ট ২০১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত। এ কে এম শহীদুল হক ১ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানান, পুলিশের আইজিপির মধ্যে সর্বোচ্চ চার বছর সময় ধরে আইজিপি ছিলেন হাসান মাহমুদ খন্দকার। পক্ষান্তরে মাত্র ১ মাস আইজিপি হিসেবে ছিলেন হাদিস উদ্দিন। তৎকালীন বিএনপি আইজিপি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় শহীদুল হককে। তিনি অনেক আগেই অবসরে গিয়েছিলেন। তার ওই নিয়োগ নিয়ে পুলিশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কারাবরণ করতে হয় আইজিপি খোদা বক্স ও আশরাফুল হুদাকে। এওয়াইবিআই সিদ্দিকীকে আইজিপি পদ থেকে সরিয়ে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়। তখন পানি সম্পদমন্ত্রী ছিলেন তারই আপন ভাই এলকে সিদ্দিকী। ২ ভাই মিলে ভালই চালিয়ে গেছেন বলে সুনাম আছে। আইজিপি হিসেবে দুর্নাম কুড়িয়ে গেছেন আশরাফুল হুদা। আর্মি থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তা মোদাব্বির চৌধুরী ছিলেন একরোখা মানুষ। তিনি তৎকালীন ক্ষমতাধর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের অন্যায় আবদার উপেক্ষা করতেন অনায়াসেই। ব্যক্তিজীবনেও সৎ বলে পরিচিত নিষ্ঠাবান এই কর্মকর্তা পুলিশের জন্য ছিলেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি সামরিক শাসনামলে যশোর জেলা পুলিশ সুপার থাকাকালে জনৈক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে হাজতে পুরে আলোচিত হন। এখন দেখা যাক, নবনিযুক্ত আইজিপি ড. মোঃ জাবেদ পাটোয়ারি পুলিশ বাহিনীটি কেমন পরিচালনা করেন তা সময়ই বলে দিবে বলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের অভিমত।
×