অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের সার্ভিস চার্জের হার কম উল্লেখ করে এসব প্রতিষ্ঠানের জোট ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অব অল্টারনেটিভ ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট (ইনাফি) বলছে, বর্তমানে এ হার ২৭ শতাংশ। সংগঠনটি বলছে, এই সার্ভিস চার্জ কমানো হলে ৫০৫ প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে এসএএসইউএস, এসইউএস, ইউএসএ, ডিপিইউএস, এইউপি, বিইডিও, এআরএস, বাংলার মেলা সংস্থা, স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা, সমাজ কল্যাণ কেন্দ্র।
এতে লিখিত বক্তব্যে কোস্ট ট্রাস্টের তারিক সৈয়দ হারুন বলেন, এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের সার্ভিস চার্জের হার কম, বাংলাদেশে এটি বর্তমানে ২৭ শতাংশ। তৃর্ণমূলে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ করা ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক উদ্বৃত্ত মাত্র ৯.৮ শতাংশ। অন্যদিকে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর এই হার প্রায় ৪৬ শতাংশ। তৃর্ণমূলের প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয়ভাবে জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান এবং দুর্যোগে আক্রান্ত তৃর্ণমূলে তারাই সবার আগে সাড়া দেন। এসব ছোট প্রতিষ্ঠান যাদের ১ থেকে ১০টা শাখা আছে তারা খুব কমই ব্যাংক বা পিকেএসএফের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা পায়। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের সার্ভিস চার্জ কমানো হলে ৫০৫ প্রতিষ্ঠানের অস্বিত্ব হুমকির মুখে পড়বে এবং এর ফলে এই ক্ষেত্রটির সুষম প্রবৃদ্ধি এবং ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে। বক্তব্য রাখেন এসএএসইউএসের শোভা রানী ম-ল (টাঙ্গাইল), এসইউএসের এম রফিকুল ইসলাম (মির্জাপুর), ইউএসএ’র তাজুল ইসলাম (নারায়ণগঞ্জ), ডিপিইউএসের আরজুমান বেগম (খুলনা), এইউপি’র মজিবুল হক ফারুকি (ঢাকা), বিইডিও’র ড. তাসনিম আহমেদ (ঢাকা), এআরএসের শামসুল হক (যশোর), কোস্ট ট্রাস্টের রেজাউল করিম চৌধুরী, মোস্তফা কামাল আকন্দ এবং তারিক সাঈদ হারুন, এফএনবি’র মোসাদ্দেক, সিডিএফ’র আব্দুল আওয়াল।