ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

দুই ফেরাউনের মূর্তি উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৩ মার্চ ২০১৭

দুই ফেরাউনের মূর্তি উদ্ধার

মিসরের রাজধানী কায়রোর এক বস্তির মাটি খুঁড়ে প্রাচীন মিসরের শাসক ফেরাউনের দুটি ভাস্কর্য উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো প্রায় তিন হাজার বছর আগের বলে ধারণা। মিসর ও জামার্নির একদল প্রতœতাত্ত্বিক গত বৃহস্পতিবার প্রাচীন মিসরের হেলিওপোলিস এলাকা থেকে এই ভাস্কর্য খুঁজে পান। এ এলাকায় বর্তমানে বস্তি হিসেবে পরিচিত। একটি ভাস্কর্য উদ্ধার করা হয়েছে এক প্রাচীন মন্দিরের প্রবেশদার থেকে। এ ভাস্কর্যটি পরীক্ষার পর মনে করা হচ্ছে এটি সম্ভবত ফারাও শাসক রামসেস দ্বিতীয়র মূর্তি হতে পারে। এ মূর্তিটি পানির নিচে ডুবে ছিল। আর অপরটিকে মনে করা হচ্ছে রামসেস দ্বিতীয়র বড় নাতি সিতির ভাস্কর্য। রামসেস দ্বিতীয়র ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৮ মিটার। এটি কোয়ার্টজাইট পাথর দিয়ে তৈরি। আর সিতির ভাস্কর্যটি চুনাপাথর দিয়ে তৈরি। খ্রিস্টপূর্ব ১২শ’ অব্দে মিসরের শাসক ছিলেন সিতি। আর রামসেস দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্ব ১২১৩ থেকে ১২৭৯ পর্যন্ত মিসর শাসন করেন। ইতিহাসে বর্ণিত আছে যে ফেরাউনদের মধ্যে রামসেস দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি দিন শাসনক্ষমতায় ছিলেন। তার সৈন্যবাহিনী বর্তমানের সিরিয়া থেকে সুদান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তার শাসনের সময় মিসরের উন্নয়নের জন্য তাকে সবাই রামসেস দ্য গ্রেট (মহান রামসেস) নামে ডাকত। অনুসন্ধানে অংশ নেয়া মিসরীর দলের প্রধান আয়মান আসমায়ি বলেন ভাস্কর্য দুটি প্রাচীন হেলিওপোলিস শহরের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। শহরের অনেক বাসিন্দা এ মূর্তি পূজা করত। মিসরের বর্তমান পুরাতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আনানি বলেন, আমরা মূর্তির বুক ও শরীরের অন্য ভাঙ্গা অংশগুলোও পেয়েছি। এখন এসবের মাথার মুকুট, নিচের অংশ, ডান হাত ও চোখ জোড়া দেয়ার চেষ্টা করা হবে। এই মূর্তি উদ্ধারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, এসবের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, এই মূর্তিগুলোয় নাম খোদাই করা নেই। কিন্তু যেহেতু এদের একটি মন্দিরের সামনে ছিল তাই মনে করা হচ্ছে এটি রামসেসের হতে পারে। মিসরের পুরাতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামার্নির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ খননকাজে অংশ নেয়।-ডিসকভারি চ্যানেল অবলম্বনে।
×