ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

স্বাস্থ্য কণিকা

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

স্বাস্থ্য কণিকা

যে খাদ্য ফ্যাট কমিয়ে দেয় * মাছ : ওমেগা-৩ থাকে প্রচুর * সিম : সকল প্রকার সিমে ফ্যাট কম আঁশ বেশি, প্রোটিন বেশি এবং গ্লুকোজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। * বাদাম : বাদামও আপনার চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে * ডিম ও চর্বি পোড়ানোর মোক্ষম খাদ্য * ব্রকোলিতে খুব বেশি ভিটামিন সি থাকে। চর্বি পোড়ানোর খুবই ভাল খাদ্য ব্রোকোলি। ইউরিক এ্যাসিড তথা বাত বাড়ে যে খাদ্যগুলোতে ইউরিক এ্যাসিড পিউরিন ভেঙে হয়, ইউরিক এ্যাসিড শরীরে একটা গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে শরীরে থাকে এবং কিডনির মাধ্যমে তা নিষ্কাশিত হয়। যদি খাদ্যে পিউরিনের গ্রহণ বেশি হয় তবে ইউরিক এ্যাসিড অগ্রহযোগ্য মাত্রায় বেড়ে যায়। এবং গাউট বা বাত করতে পারে। যে খাদ্যগুলো শরীরে ইউরিক এ্যাসিড বাড়ায় তা হলো * মাংস : মাংসে সবচেয়ে বেশি পিউরিন থাকে। গরু বা খাসির লিভার, হৃদপিন্ড, কিডনি ও ব্রেনে সবচেয়ে বেশি পিউরিন থাকে। যদি আপনি বাতে ভুগেন তবে অবশ্যই আপনাকে লাল মাংস পরিত্যাগ করতে হবে। * সামদ্রিক মাছ : ক্রাব, চিংড়ি সারডাইনস, টুনাতে এবং স্যামন ফিসে প্রচুর পিউরিন থাকে। তাই গ্রহণে ইউরিক এ্যাসিড বেড়ে যাবে। পরিত্যাজ্য বাতের রোগীদের বেলায়। * শাকসবজি : যদিও কিছু শাকসবজিতে প্রচুর পিউরিন থাকে। কিন্তু তা লাল মাংস বা সামদ্রিক মাছের মতন ইউরিক এ্যাসিড বাড়ায় না। তবে পরিমাণ মতন এগুলো খেতে হবে যেমন মাশরুম, সিম, পিয়াজ, ডাল ব্রোকোলি, কফি, গাজর, স্পিনাক। * ইস্ট : যে খাদ্যে ইস্ট থাকে তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য কারণ এগুলোতে অতিমাত্রায় পিউরিন থাকে। যেমন বেয়ার এবং ব্রেডে। * ফল : কিছু ফলে পিউরিন থাকে যেমন খেজুর ও ডুমুর। কলা, আপেলে পিউরিন থাকে। দুভাবে শরীরে ইউরিক এ্যাসিডের ব্যালান্স সম্ভব, যে খাদ্যে শরীরে ইউরিক এ্যাসিড বেড়ে যায় তা পরিত্যক্ত করে এবং যে খাদ্যে বা ফলে কার্বহাইড্রেট ও পানির পরিমাণ বেশি তা গ্রহণ করে স্বাস্থ্যময় হৃৎপিন্ডের জন্য * খাদ্যের পরিমাণ সম্পূর্ণ। খাবেন বেশি করে অল্প ক্যালরির অতিপুষ্টিকর খাদ্য এবং কম খাবেন বেশি ক্যালরি ও সোডিয়ামযুক্ত খাদ্য। * বেশি করে শাকসবজি খান * খোসা সমেত যেমন ব্রাউন আটা, খোসা সমেত সিরিয়াল ইত্যাদি বেশি করে খাবেন। * খারাপ ফ্যাট, যেমন ঘি মারজারিন পরিত্যাজ্য এ ছাড়া মাংস থেকে ফ্যাটটুকু ছাড়িয়ে নিন। * অলিভ ওয়েল, কানোলা ওয়েল হার্টের জন্যে ভাল খারাপ- ঘি, ব্যাকন চর্বি, ঝোল, কোকো বার্টার যা কিনা চকোলেটে দেয়া থাকে। * অল্প ফ্যাটের প্রোটিন সন্ধান করুন যেমন মুরগির মাংস ও মাছ ও ডিম হার্টের জন্যে ভাল। দুধের ক্ষেত্রে মাখন তোলা দুধ এবং মুরগির চামড়াবিহীন মুরগির মাংস খেতে হবে। মাছে প্রচুর ওমেগা-৩ থাকে যা কিনা শরীরের ভাল ট্রাইগ্লিসারাইডস কমিয়ে দেয়। ওমেগা-৩ বেশি থাকে ফ্লাস্কসিডে বাদামে সয়াবিন ও ক্যানোলা তেলে। সিম, পিয়াজ ডালে প্রচুর প্রোটিন থাকে, ফ্যাট কম থাকে এবং কোলেস্টেরল থাকেই না। * সোডিয়াম তথা খাওয়ার লবন কমিয়ে দিন * আগেভাগে আপনার খাদ্য মেনু ঠিক করুন * দু’একদিন ব্যত্যয় ঘটলে কিছু হবে না
×