ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

তৌকির মৌসুমীর টেলিফিল্ম ‘বসন্ত মেঘ’

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৩ জুন ২০১৬

তৌকির মৌসুমীর টেলিফিল্ম ‘বসন্ত মেঘ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি নির্মিত হলো বিশেষ টেলিফিল্ম ‘বসন্ত মেঘ’। টেলিফিল্মটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন তরুণ পরিচালক সাজিন আহমেদ বাবু। টেলিফিল্মে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক তৌকির আহমেদ এবং চিত্রনায়িকা মৌসুমী। আরও অভিনয় করেছেন আরিফ হাসান, অধরা প্রিয়া, আইরিন প্রমুখ। টেলিফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন ফেইম ক্রিয়েটিভ প্রডাকশন। নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে ঈদের অনুষ্ঠানমালায় টেলিফিল্মটি প্রচারের সম্ভাবনা রয়েছে। টেলিফিল্মের গল্পে দেখা যাবে আতিফ ও কানিজ স্বামী-স্ত্রী। তারা একটি প্রাইভেট ফার্মে একই কোম্পানিতে চাকরি করে। নাগরিক জীবনে নানা ব্যস্ততার কারণে ধীরে ধীরে তাদের সংসারে নেমে আসে অশান্তি। দুজনের মাঝেই অবিশ্বাস বাসা বাঁধে। বাড়তে থাকে সন্দেহ। এই নিয়ে চলে প্রতিনিয়ত ঝগড়াঝাটি। এক পর্যায়ে তারা ডিভোর্স নেয়। ডিভোর্স নেয়ার পরদিন অফিসে যাওয়ার পরই অফিসের এমডি তাদের কক্সবাজারে অফিসিয়াল কাজে পাঠিয়ে দেয়। তারা পড়ে যায় বিপাকে। চাকরি হারানোর ভয়ে বসকে বলতেও পারে না তারা এখন আর স্বামী-স্ত্রী নয়। এ অবস্থায় ইচ্ছে না থাকলেও তারা একসঙ্গে যেতে বাধ্য হয়। সেখানে গিয়ে তারা একই রুমে থাকে। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ধীরে ধীরে তারা নিজেদের কাছাকাছি হয়। নিজেদের নতুন করে বুঝতে পারে। নিজেদের মধ্যে ভালবাসার বিষয়টি নতুন করে আবিষ্কার করে। এগিয়ে যায় টেলিফিল্মের কাহিনী । টেলিফিল্ম প্রসঙ্গে পরিচালক সাজিন আহমেদ বাবু জনকণ্ঠকে বলেন, ঢাকা শহর শুধু নয় শহরের মানুষগুলো দিন দিন যান্ত্রিক হয়ে পড়ছে। ক্যারিয়ার এবং অর্থ উপার্জনের চাপে মাঝে মাঝে মানবিক সম্পর্কগুলো হোঁচট খাচ্ছে। নগর সভ্যতার কারণে মানুষ দিন দিন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। এ কারণে অনেকেরই সুন্দর সাজানো গোছানো সংসারও টিকছে না। ভালবেসে বিয়ে করেও অনেকেরই বিয়ে টিকছে না। এ অবস্থায় নাগরিক জীবনে হাজারও ব্যস্ততা সত্ত্বেও ভিন্ন পরিবেশে সময় কাটনো উচিত । তাহলে পারস্পরিক সম্পর্কগুলোকে নতুন করে আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের সম্পর্ক আরও মজবুত করা যায়। এটাই টেলিফিল্মের বিষয়বস্তু। প্রসঙ্গত এই টেলিফিল্মে অভিনয়ের জন্য তৌকির আহমেদ ও মৌসুমী বিশ বছর পর আবার জুটিবদ্ধ হলেন। বিশ বছর আগে ‘আড়াল’ নামে একটি নাটকে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন।
×