
ছবি: জনকণ্ঠ
রাণীশংকৈলে ইউপি সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত টিম আসার আগেই ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার ভোরে উপজেলার ৩ নং হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কক্ষে আগুন লেগে বিভিন্ন নথি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আর এ আগুনে পরিষদের আয়, ব্যয়, ভিজিটিং কার্ডের জমানো টাকার হিসাবসহ ইউপি সদস্যদের বকেয়া বেতনের বিভিন্ন ফাইল পুড়ে যায়।ন
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইউপি সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্যদের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিনিধি দল আসার কথা ছিলো। আর সেই তদন্ত কমিটি আসার আগেই পুড়ে গেল পরিষদের বিভিন্ন ফাইল। এ নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, ইউপি সদস্যদের সম্মানীভাতা না দেওয়া, সভার রেজুলেশন জালিয়াতি ও বিভিন্ন আর্থিক খাতে দুর্নীতির বিষয়ে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত টিম আসার কথা ছিলো। সেই তদন্ত কমিটি আসার আগেই ছাই হলো পরিষদের বিভিন্ন নথি।
পরিষদের নৈশ প্রহরী মহল্লাদার ফজলুল হক জানান, "মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় ইউপি সচিব পরিষদের সেই কক্ষে প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষণ পরে চলে যান। পরে রাত ৩ টার দিকে আবার দরজা তালা চেক করে চোখে ঘুম আসলে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। এর পরেই ভোর রাতে আমি পরিষদের মসজিদের মুয়াজ্জিনের সংবাদে খবর পেয়ে এসে দেখি যে সচিবের কক্ষে আগুন জ্বলছে। পরে কক্ষের থাই জানালা খুলে বাইর থেকে পানি ঢেলে আগুন নিভাই।"
ইউপি সচিব পলাশ চন্দ্র রায় জানান, "আমি রাতে আমার কাজ শেষে বের হয়ে যাই। তখন সব ঠিক ছিলো। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।" ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন বলেন, "অগ্নিকান্ডে পরিষদের কিছু নথি পুড়ে গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
আবীর