
ছবি: সংগৃহীত।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতান গ্রামে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে ধান ঢাকতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জহুরুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত চয়ন উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদী শুকিয়ে চর জমে যাওয়ায় সেখানে কৃষক জহুরুল ইসলাম ধান চাষ করেছিলেন। বুধবার সকালে কাটা ধান জমিতে ফেলে রেখে দুপুরে বৃষ্টির আশঙ্কায় পলিথিন নিয়ে তা ঢাকতে যান তিনি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরে তার জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরের সামনের বারান্দায় শায়িত রয়েছে মরদেহ। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ, উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে ভিড় করেছেন।
নিহতের ভাতিজা মুন্না শেখ বলেন, “চাচার সঙ্গে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। আমি আর চাচা দুই দিকে পড়ে যাই। পরে গিয়ে দেখি, চাচার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে, শরীরের এক পাশ পুড়ে গেছে।”
স্থানীয় কলেজছাত্র ফিরোজ মাহমুদ বলেন, “প্রায় ১৫ বছর আগে একই স্থানে ফুটবল খেলার সময় জিয়ারুল নামে এক যুবক বজ্রপাতে মারা যান। এ ধরনের আবহাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকা উচিত।”
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, “মাঠে কৃষিকাজ করার সময় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
নুসরাত