
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ককে আধুনিকায়নের মাধ্যমে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাড়বে পর্যটক আগমন এবং সরকারের রাজস্ব আয়—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মধুটিলা ইকোপার্কের ইজারাদার মজিবুর রহমান চৌধুরী জানান, পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও দর্শনীয় স্থানগুলোর উন্নয়ন এবং পর্যটকদের বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত করতে বন বিভাগে বিভিন্ন প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবনায় যা রয়েছে:
- উন্নয়ন পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য কিছু প্রস্তাব হলো—
- পার্কের চারপাশে ১০ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীর ও কাটাতার নির্মাণ
- মহুয়া রেস্ট হাউজ থেকে বড় টিলা পর্যন্ত ঝুলন্ত সেতু
- লেকের ওপর দিয়ে ক্যাবল কার স্থাপন
- সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ, আধুনিক সুইমিং পুল, ওয়াটার স্লিপার ও ঝরনা
- বিরল ও বিপন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য, শিশুপার্কে নাগরদোলা ও বৈদ্যুতিক ট্রেন
- লেক খনন ও সৌন্দর্য বর্ধন, স্পিডবোটের জন্য প্রস্তুত করা
- নতুন পায়ে চলা পথ ও পুরোনো পথ সংস্কার
- ট্যুরিস্ট পুলিশের নিয়োগ ও সড়ক প্রশস্তকরণ
পর্যটক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পার্কের ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত নজরদারি ব্যবস্থার কথাও প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে।
শেরপুর জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে ভারত সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত ২০০ একর আয়তনের এই ইকোপার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এখানে রয়েছে শাল-গজারী বন, ঔষধি বৃক্ষের বনায়ন, মহুয়া রেস্ট হাউজ, মিনি চিড়িয়াখানা, স্টার ব্রিজ, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ক্যান্টিন, কার পার্কিংসহ নানা সুবিধা।
প্রতিবছর হাজারো দর্শনার্থী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে বেড়াতে আসেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এখন মাঝে মাঝে বন্যহাতির উপস্থিতিও পর্যটকদের নতুন অভিজ্ঞতা দিচ্ছে।
গারো পাহাড়ের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে এই পার্ককে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বন বিভাগের সহায়তায় সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় প্রস্তাবনাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার ইতোমধ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
নুসরাত