
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক যুবতী (১৯) কে জোরপুর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় (২৫) সহ আরো দুইজন কে আটক করেছে থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী ঢাকায় একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিরিশিরি এলাকার এক রিসোর্ট থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ভুক্তভোগীর হবু স্বামী মুন্না মিয়া (২৭) এর সাথে দুর্গাপুরে বেড়াতে আসে। সন্ধ্যা হয়ে গেলে তারা ওই রিসোর্টে এসে ২০১ নং কক্ষে রাত্রীযাপন করে। পরদিন দুপুরে প্রয়োজনীয় কাজে মুন্না একটু বাহিরে গেলে এই সুযোগে মুন্নার বন্ধু দুর্জয় ওই কক্ষে এসে ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে। দুর্জয় ভুক্তভোগীর পূর্ব পরিচিতি হওয়ায় কুশল বিনিময় করেন তারা। কথা বলার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে শারীরিক আঘাত করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে দুর্জয়। পরবর্তিতে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ও পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ধর্ষণ ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলার প্রস্ততি চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুবতী থানা হেফাজতে রয়েছেন। কাল সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম এলিন ও সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহাবুব চৌধুরী সিদ্ধান্ত ক্রমে মঙ্গলবার রাতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় কে দল থেকে বহিস্কার করেন।
মুমু