
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কালে মৌজার মো. শায়েখুল আমিন শায়েখ মাত্র ২৩ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তা। গত তিন-চার বছরে নিজে কাজ শিখে উপার্জনের পাশাপাশি তিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন শত শত তরুণকে— যাদের অনেকেই এখন ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করছেন।
শায়েখ বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় অবসর কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখেন তিনি। শুরুটা ছিল মাত্র একটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ দিয়ে।
ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তিনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন। শায়েখের লক্ষ্য— “প্রতি ঘরে একজন উদ্যোক্তা তৈরি করা।” এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ২ হাজার জনকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
শায়েখ বলেন, “আমি চাই দেশের প্রতিটি তরুণ দক্ষ হয়ে বিদেশ নির্ভরতা ছাড়াই নিজের পায়ে দাঁড়াক। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্রিল্যান্সিং এখন তরুণদের জন্য বড় সম্ভাবনার একটি ক্ষেত্র। সঠিক দক্ষতা, নিয়মিত চর্চা আর ধৈর্যের মাধ্যমে এটি পূর্ণাঙ্গ ক্যারিয়ারে রূপান্তর করা যায়।”
শায়েখ নতুনদের উদ্দেশে বলেন:
- একটি নির্দিষ্ট স্কিলে দক্ষতা অর্জন করতে হবে,
- ধৈর্য ধরে শেখা ও কাজ করতে হবে,
- পোর্টফোলিও তৈরি ও পেশাদার যোগাযোগের কৌশল রপ্ত করতে হবে,
- ছোট কাজ দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়াতে হবে।
তিনি জানান, একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার মাসে ১০–৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়লে মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তারও বেশি আয় সম্ভব।
কুড়িগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ( ভারপ্রাপ্ত) আনু সৈয়দ মো. রেজাউল করিম খন্দকার দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের এখানে এখনও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। শায়েখুল আমিন শায়েখ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই সেক্টরে কাজ করে সফল হয়েছেন— এটা শুনে ভালো লাগছে। তাকে আমি সরাসরি ডেকে কথা বলব। দেখি কুড়িগ্রামে এই খাতে কী সম্ভাবনা আছে।
নুসরাত