
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সালিশ চলাকালে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিবাদমান দুটি পক্ষ আবার চাচা ভাতিজা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম আলগী গ্রামের দেলো মাতুব্বরের সঙ্গে তার চাচা একই গ্রামের আলী মাতুব্বরের স্থানীয় হরিরহাট বাজারের একটি দোকান ঘরের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধপূর্ণ দোকানের জমি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশে বসে দুই পক্ষ। সালিশ চলাকালীন সময়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের শত শত লোকজন ঢাল, সরকি, রামদা, ইট-পাটকেল সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত আরিফ(৩০) ফেরদৌসী বেগম(৩০) লিমন (২৬) ও রাজীব (২৮)-কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্য আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় দেলোয়ার মাতুব্বর পক্ষের প্রবাসী নুর ইসলাম, মামুন মাতুব্বর, আছমত মাতুব্বর, সিরাজ মাতুব্বর, সাইফুল মাতুব্বর, চুন্নু মাতুব্বর, রফিক মাতুব্বর সহ অন্তত ১০ টি বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর এবং স্বর্ন, গহনা, নগদ টাকা লুটপাট করা হয়।
ভাংচুরের শিকার আছমত মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন,বাজারে সালিশ বৈঠক চলাকালে প্রতিপক্ষ আলী মাতুব্বর দলের লোকজন পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং সর্বস্ব লুট, সালিশ বৈঠকে সবার খাবারের জন্য রান্না করা খাদ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে নষ্ট করা হয়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, “সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
মুমু