
ছবি : সংগৃহীত
যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে, যমুনার তীরে সিরাজগঞ্জ সদর ও বেলকুচি উপজেলার ১,০৪১ একর জমির উপর গড়ে উঠছে একটি পরিকল্পিত বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল- সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারে শিল্প উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে।
সবুজ প্রকৃতিকে অক্ষুণ্ন রাখতে পুরো জমির ৬০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে কারখানার জন্য। বাকি জমিতে থাকবে খেলার মাঠ, লেক, বনায়ন, বিনোদন কেন্দ্র, হাসপাতাল, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম, সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো।
এই অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে প্রায় ৪০০ প্লটে গড়ে উঠবে ছোট-বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পাশাপাশি সড়ক, রেল এবং নৌপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধা থাকায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। ইতোমধ্যেই অনেক উদ্যোক্তা এলাকা পরিদর্শন করে কারখানা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো অনেকটাই প্রস্তুত। জোন ওয়ান পুরোপুরি ডেভেলপ করা হয়েছে। সড়ক ও ইউটিলিটি সংযোগ সম্পন্ন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিনিয়োগকারীরা এখনই কনস্ট্রাকশন শুরু করতে পারবেন। তাঁরা ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে বন্ড লাইসেন্স পর্যন্ত সব সেবা ইনহাউজে প্রদানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি হয় ‘রেডি ফর ইনভেস্টমেন্ট’ এলাকা।
প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ হলেও, প্রতিটি প্লট শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে পারে, তবে এই অঞ্চলে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন দেয়। প্রায় ৩,২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই অঞ্চলটি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে এক বড় ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আঁখি