
সাভার ডিইপিজেডের ৬০ ভাগ কারখানা উৎপাদনে ফিরেছে
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিদ্যুৎ সংকটের কারণে গত সোমবার দুপুরে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) অন্তত ৯০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে মঙ্গলবার কারখানাগুলোতে বিকল্প উপায়ে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কারখানাগুলোর উৎপাদন সচল করা হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ডিইপিজেডের মোট চাহিদা ৪৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে ২৫ থেকে ২৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এর সঙ্গে দ্রুতই আরও ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে বলেও আশা করছেন ডিইপিজেড এর কর্মকর্তারা।
ইতোমধ্যে ডিইপিজেডের ৭০ শতাংশ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চালু হলেও বন্ধ রয়েছে ৩০ শতাংশ কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম। এদিকে হঠাৎ সৃষ্ট এই সংকটের কারণে সকালে ডিইপিজেডের ৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, গতকাল তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ইউনাইটেড পাওয়ারকে ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারায় ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। এতে করে গতকাল প্রায় ৯০টি কারখানার প্রায় ১ লাখ শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সংকট কাটিয়ে উঠতে আজ বিকল্প পথে কারখানাগুলোতে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে উৎপাদন সচল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ কারখানার উৎপাদন সচল হয়েছে।
ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান বলেন, তিতাস কর্তৃপক্ষ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পাওয়ার প্লান্টের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে। আমাদের হেড অফিস থেকে তিতাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন বলেন, গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় প্রতিষ্ঠানটিতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। সোমবার দুপুরের দিকে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান লষ্কর বলেন, ইউনাইটেড পাওয়ারের পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমরা সন্ধ্যায় ১০ মেগাওয়াট সাপ্লাই দিয়েছি, যা দিয়ে সিকিউরিটিসহ আবাসিক বা অন্যান্য চাহিদাগুলো মেটানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আরও ২৫ মেগাওয়াট অর্থাৎ সর্বমোট ৩৫ মেগাওয়াট আমরা তাদের সরবরাহ করছি।
এই মুহূর্তে আমরা কবীরপুর গ্রিড থেকে, সেখানে ইপিজেডের আমদের দুইটি সাবস্টেশন আছে, সেখান থেকে সাপ্লাইটা দিচ্ছি। কোনো কারণে যদি ইউনাইটেড পাওয়ার ফেইল করে দিত, তাহলে পরবর্তীতে আমরা এটা কন্টিনিউ করার একটা প্রচেষ্টা নিচ্ছি। ডিইপিজেডে আমাদের আগে থেকেই ফ্যাসিলিটি রয়েছে, কাজেই কোনো সমস্যা হবে না।