
ছবি : সংগৃহীত
আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি দেশে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদে গত রোববার অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই সূত্র অনুযায়ী, ওয়ালটনের এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত উন্নতমানের ও সাশ্রয়ী মূল্যের ব্যাটারি সরবরাহ সম্ভব হবে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। উৎপাদন শুরু হলে বছরে আনুমানিক ১৪৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার ব্যাটারি বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওয়ালটনের চলতি হিসাব বছরের (২০২৪-২৫) প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) আয় হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৪ হাজার ২৮৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬৯৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৭৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা কমেছে ৮.৬৪ শতাংশ।
এই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (EPS) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৯৯ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ২৫ টাকা ১৭ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAVPS) দাঁড়িয়েছে ৩৭৮ টাকা ৪১ পয়সায়।
সর্বশেষ ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫০ শতাংশ ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ওয়ালটনের পর্ষদ। আলোচ্য বছরে কোম্পানির EPS ছিল ৪৪ টাকা ৭৮ পয়সা এবং NAVPS দাঁড়ায় ৩৭৯ টাকা ৩০ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।
এর আগের ২০২২-২৩ হিসাব বছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। ওই বছরে EPS ছিল ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা এবং NAVPS ছিল ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১১ হাজার ৯৪ কোটি ২ লাখ টাকা।
বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৬৫.০৭ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ০.৫৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.০৯ শতাংশ এবং বাকি ৩৪.২৯ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
আঁখি