ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

দেশের নয় জেলায় বজ্রপাতে শিক্ষার্থীসহ ১৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০২:২৭, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দেশের নয় জেলায় বজ্রপাতে শিক্ষার্থীসহ ১৬ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের নয়টি জেলায় বজ্রপাতে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। রোববার রাত থেকে সোমবার (২৮-২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা যায়, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, শরীয়তপুর, যশোর ও মাদারীপুর জেলায় বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বোরো ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কুমিল্লা:
বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগচ্ছ গ্রামে মাঠে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন ও মোহাম্মদ জিহাদের মৃত্যু হয়। মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষক জুয়েল ভূঁইয়া ও নিখিল দেবনাথ মারা যান। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়ে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ:
অষ্টগ্রামে কৃষক ইন্দ্রজিৎ দাস, খয়েরপুর গ্রামের স্বাধীন মিয়া, মিঠামইনে রানীগঞ্জ গ্রামের ফুলেছা বেগম ও কটিয়াদীতে ধনকিপাড়া গ্রামের জেলে শাহজাহান বজ্রপাতে প্রাণ হারান। এরা কেউ হাওরে ধান কাটার সময়, কেউ নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতের শিকার হন। হাওড় অঞ্চলে বজ্রপাত ও অকাল বন্যার আশঙ্কায় কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার জন্য মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

নেত্রকোনা:
কলমাকান্দা উপজেলার ধনুন্দ গ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষক দিদারুল ইসলাম এবং মদন উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামে শিক্ষার্থী আরাফাত বজ্রপাতে মারা যান।

মৌলভীবাজার:
বড়লেখার শ্রীধরপুর গ্রামে ধান কাটার সময় চা শ্রমিক মাখন রবি দাস বজ্রপাতে নিহত হন।

হবিগঞ্জ:
বানিয়াচং উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামে ধান কাটার সময় কৃষক দূর্বাসা দাস বজ্রপাতে মারা যান। এ ঘটনায় তার ভাই ও বোনসহ আরও কয়েকজন আহত হন। একই উপজেলার বাগহাতা গ্রামে বজ্রপাতে শিশু বায়েজিদ মিয়াও আহত হয়েছে।

চাঁদপুর:
কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে ধান আনতে যাওয়ার পথে বিশখা রানী সরকারের মৃত্যু হয়।

শরীয়তপুর:
ভেদরগঞ্জ উপজেলার বেপারীকান্দি গ্রামে গরুর জন্য ঘাস আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান সেফালী বেগম।

যশোর:
শার্শা উপজেলার বেড়ি নারায়ণপুর গ্রামে ধানের গাদা দেওয়ার সময় বজ্রপাতে কৃষক আমির হোসেন মারা যান। যশোরের চৌগাছা, সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছিল, যার ৫১ শতাংশের ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে।

মাদারীপুর:
রাজৈর উপজেলার কমলাপুর গ্রামে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে কৃষক কাজল বাড়ৈ নিহত হন।

ফসলের ক্ষয়ক্ষতি:
যশোরসহ কয়েকটি জেলায় শিলাবৃষ্টির কারণে মাঠের ৭০-৮০ ভাগ ধান নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। দ্রুত জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এসএফ

×