ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

টাঙ্গাইলে পাঁচ বছর ধরে মুষ্টির চাল তুলে

রাস্তা নির্মাণ নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলে পাঁচ বছর ধরে মুষ্টির চাল তুলে

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি টাঙ্গাইলের গবড়া ও ডুবাইল গ্রামে। এই দুই গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। রাস্তা নিচু হওয়ায় প্রতিবছর বন্যাকবলিত হয় গ্রামের সাধারণ মানুষ। বৃষ্টি হলেই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। হাজারো মানুষ চলাচল করে ভোগান্তি নিয়ে। ভোগান্তি দূর করতে সাপ্তাহিক মুষ্টির চাল তুলে তা বিক্রি করে এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা।
গ্রামবাসী জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার শেষ প্রান্তে দুইটি গ্রাম গবড়া ও ডুবাইল। স্বাধীনতার পর আমাদের এলাকার কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া দেখিনি। পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা তলিয়ে যায়। ৪-৫ মাস রাস্তায় পানি থাকে। ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজ ও অসুস্থ মানুষ নিয়ে যেতে কষ্ট হয়। এই রাস্তায় কোনো সরকারি অনুদান আসেনি। আমরা এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ করছি। পাঁচ বছর ধরে সাপ্তাহিক মুষ্টির চাল তুলে তা বিক্রি করে দুই মাস যাবত এক কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। রাস্তাটির সম্পূর্ণ কাজ করতে প্রশাসন ও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন দুই উপজেলার দুই গ্রামের বাসিন্দা।
দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের সুজাত আলী বলেন, আমাদের গ্রাম দেলদুয়ারের শেষ প্রান্তে হওয়ায় এই এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। বিভিন্ন মানুষের কাছে আমরা ঘুরাফেরা করছি কোনো কাজ হয়নি। তাই আমরা নিজ উদ্যোগে সবাই মুষ্টির ফান্ড ও বিভিন্নভাবে টাকা সংগ্রহ করে এক কিলোমিটার রাস্তায় মাটি ফেলেছি। আমরা যদি সরকারি সহযোগিতা পাই আমাদের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে পারব।
মির্জাপুর উপজেলার গবড়া গ্রামের আতিক মিয়া বলেন, আমরা কারও কাছে সহযোগিতা না পেয়ে যুব সমাজ ও মুরব্বিরা মিলে নিজেদের রাস্তা নির্মাণ কিছুটা করতে পারছি। কাজ করতে গিয়ে যে টাকা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। টাকা শেষ হওয়ার কারণে বাকি কাজ সম্পূর্ণ করতে পারছি না। মির্জাপুর-দেলদুয়ার প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রওশন করিম বলেন, চাল তুলে তা বিক্রি করে রাস্তা নির্মাণ করছে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। কখনো রাস্তার বিষয়ে কেউ আসেনি। রাস্তার বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে তারপর বলতে পারব।

প্যানেল

×