
উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা পরিচালনার একাডেমিক কাগজপত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব ছাড়াও মাদ্রাসার সম্পত্তি কুক্ষিগত করে রাখায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। এতে স্বনামধন্য এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ধুঁকে ধুঁকে চলছে। এ ছাড়া শিক্ষকরা বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন কয়ড়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হযরত আলী জেহাদী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রক্ষার দাবি এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এম শাহজাহান আলীর ষাট বছর পুর্ণ হওয়ায় চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি অবসরে না গিয়ে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নেন। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিলেও দুই বছরের বেশি সময় ধরে অধ্যক্ষ পদ ধরে রেখেছেন এম. শাহজাহান আলী। নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে মাদ্রাসার একাডেমিক কাগজপত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মাদ্রাসার নামে থাকা সম্পত্তির লিজকৃত অর্থ নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রাখেন। অন্য শিক্ষকরা এসবের প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের বাধায় মাদ্রাসায় ঢুকতে না পারলেও বাইরে থেকে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করছেন বলে জানা গেছে। কয়ড়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হযরত আলী জেহাদি বলেন, অধ্যক্ষ এম. শাহজাহান আলী নিয়োগ বাণিজ্য, মাদ্রাসার পুকুর লিজ দিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী শিক্ষকদের নামে মিথ্যা মামলা, বেতন উত্তোলনে বাধাসহ নানান অনিয়ম করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছেন। অবসরের পরও নিয়ম-বহির্ভূতভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক অধ্যক্ষ এম. শাহজাহান আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ইতোমধ্যে কয়ড়া মাদ্রাসার বিষয়ে অবগত হয়েছি। মাদ্রাসার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) স্যারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
এ বিষয়ে কয়ড়া ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) রোজিনা আক্তার বলেন, এ বিষয়গুলো মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড দেখভাল করে। আমরা মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।
প্যানেল