
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ি ছিল উত্তপ্ত। ১৯ জুলাই মাতুয়াইলে পুলিশের কনস্টেবল গিয়াসউদ্দিন নিহত হলে ২৫ জুলাই যাত্রাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতার পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়।
তখন গ্রেফতার হন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ। কোমরে রশি বেঁধে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়। সে সময় পরিবার ও স্বজনরা তার মুক্তির দাবি জানায়। এখনো তিনি মামলার আসামি হিসেবে দিন কাটাচ্ছেন। পরিবার চায়, মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহার হোক।
তদন্তকারীরা বলছেন, মামলাটি প্রত্যাহারে কিছু জটিলতা রয়েছে। ১৬৪ ধারায় কয়েকজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থাকায় মামলাটি সহজে বন্ধ করা যাচ্ছে না। নথিপত্রে দেখা যায়, মামলার প্রধান আসামি ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা এবং একই ইউনিটের ইরফান স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তবে তারা দাবি করছেন, ওই জবানবন্দি ছিল জোরপূর্বক আদায়কৃত।
ইরফান বলেন, “ডিবির কর্মকর্তারা আমাকে অকথ্য নির্যাতন করে অজ্ঞান অবস্থায় আদালতে নিয়ে যান। বলেছিলেন, স্বীকার না করলে পরিবারকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।” তিনি জানান, তখন অনেক কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল, অথচ সেগুলোর বিষয়বস্তুই জানা ছিল না।
আইনজীবীরা বলছেন, জোরপূর্বক আদায় করা জবানবন্দি আইনের চোখে টিকবে না। আদালতে আবেদন করে তা প্রত্যাহার করা সম্ভব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে মামলায় *ফাইনাল রিপোর্ট* দিতে পারে।
একাধিক আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীর মতে, হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজসহ অনেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এই মামলায় আসামি হয়েছেন। তারা বলছেন, এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি না হলে সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের ক্ষোভ আরও বাড়বে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "আমরা নির্দোষ কাউকে হয়রানি করছি না। মামলার সঠিক তদন্ত হচ্ছে এবং দোষী ছাড়া কারো বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়া হবে না।"
যাত্রাবাড়ির এই মামলা ছাড়াও জুলাইয়ের অনেক মামলা এখনো ঝুলে আছে, যা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।
সূত্র:https://youtu.be/GSYLXtJ4UDc?si=BTk-pH6YlgKmX7pr
আঁখি