ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

মধুপুরে বারতীর্থ স্নান ও মেলায় ভক্তের ঢল

নিজস্ব সংবাদদাতা, মধুপুর, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২১:০১, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

মধুপুরে বারতীর্থ স্নান ও মেলায় ভক্তের ঢল

মধুপুর, টাঙ্গাইল : মনোবাসনাপূর্ণ করার আশায় শোলাকুড়ী সুতানালা দীঘিতে বারতীর্থ স্নান করছেন ভক্তরা

শত বছরের অধিক সময় ধরে প্রতি বছর বৈশাখ মাসের অমাবস্যা তিথিতে সুতানালা দীঘিতে অনুষ্ঠিত হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারতীর্থ স্নান ও মেলা। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ীতে রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারতীর্থ স্নান ও  মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের পুণ্যার্থীরা এ নির্দিষ্ট সময়ে মনোবাসনা পূর্ণ করার মানসে পুণ্যস্নানে অংশ নেয়।
পুণ্যার্থীরা চিনি-কলাসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি জলে দানপূর্বক স্বীয় দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য একাগ্রচিত্তে স্নান করে গ্লানি মুছে ফেলার প্রতিজ্ঞা করে। কথিত আছে, নাটোরের জমিদার রাজা জগদীন্দ্র নাথ রায় বাহাদুরের মাতা অসুস্থ  অবস্থায় বারটি তীর্থ স্থানের গঙ্গাজলে স্নান করার ইচ্ছা পোষণ করেন। তার বিশ্বাস ওই গঙ্গাজলে স্নান করলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। মাতার ইচ্ছা পূরণ করতে জমিদার ১২টি তীর্থ স্থান থেকে গঙ্গাজল সংগ্রহ করে শোলাকুড়ীতে বিশালকার পুকুর খননপূর্বক সেই পুকুরে মাকে স্নান করায়। এতে তার মা আরোগ্য লাভ করেন। পুণ্যস্নান আয়োজক কমিটির সভাপতি শ্রী নিশি সাহা বলেন, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নিয়ম রক্ষার্থে ঘট পূজা ও স্নানোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
পুণ্যস্নান আয়োজক কমিটির পক্ষে শোলাকুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা মধুপুর উপজেলা সহকারী কশিনার ভূমি রিফাত আনজুম পিয়া জানান, কমিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর এ স্নানোৎসবে  লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। এ বছরও বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালিত হচ্ছে।মধুপুর, টাঙ্গাইল : মনোবাসনাপূর্ণ করার আশায় শোলাকুড়ী সুতানালা দীঘিতে বারতীর্থ স্নান করছেন ভক্তরা     -জনকণ্ঠ

মধুপুরে বারতীর্থ স্নান ও
মেলায় ভক্তের ঢল

নিজস্ব সংবাদদাতা, মধুপুর, টাঙ্গাইল ॥ শত বছরের অধিক সময় ধরে প্রতি বছর বৈশাখ মাসের অমাবস্যা তিথিতে সুতানালা দীঘিতে অনুষ্ঠিত হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারতীর্থ স্নান ও মেলা। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ীতে রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারতীর্থ স্নান ও  মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের পুণ্যার্থীরা এ নির্দিষ্ট সময়ে মনোবাসনা পূর্ণ করার মানসে পুণ্যস্নানে অংশ নেয়।
পুণ্যার্থীরা চিনি-কলাসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি জলে দানপূর্বক স্বীয় দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য একাগ্রচিত্তে স্নান করে গ্লানি মুছে ফেলার প্রতিজ্ঞা করে। কথিত আছে, নাটোরের জমিদার রাজা জগদীন্দ্র নাথ রায় বাহাদুরের মাতা অসুস্থ  অবস্থায় বারটি তীর্থ স্থানের গঙ্গাজলে স্নান করার ইচ্ছা পোষণ করেন। তার বিশ্বাস ওই গঙ্গাজলে স্নান করলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। মাতার ইচ্ছা পূরণ করতে জমিদার ১২টি তীর্থ স্থান থেকে গঙ্গাজল সংগ্রহ করে শোলাকুড়ীতে বিশালকার পুকুর খননপূর্বক সেই পুকুরে মাকে স্নান করায়। এতে তার মা আরোগ্য লাভ করেন। পুণ্যস্নান আয়োজক কমিটির সভাপতি শ্রী নিশি সাহা বলেন, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নিয়ম রক্ষার্থে ঘট পূজা ও স্নানোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
পুণ্যস্নান আয়োজক কমিটির পক্ষে শোলাকুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা মধুপুর উপজেলা সহকারী কশিনার ভূমি রিফাত আনজুম পিয়া জানান, কমিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর এ স্নানোৎসবে  লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। এ বছরও বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালিত হচ্ছে।

প্যানেল

×