
বাউফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিআর, কাবিখা এবং কাবিটা কর্মসূচির আওতায় একাধিক প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। আর টাকা না দিলে কাজ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কালাইয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে পাকা রাস্তা হতে খলিফা বাড়ি অভিমুখী রাস্তা মেরামতের জন্য ৮.৮৮৪ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া ৫নং ওয়ার্ডে মোল্লাবাড়ি থেকে উত্তরের সিকদারবাড়ি হয়ে জাহাঙ্গীর সড়ক অভিমুখী রাস্তা উন্নয়নের জন্য ২,৩৬,৭১৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ করে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। স্থানীয়দের জানিয়েছেন, প্রকল্পের আওতায় রাস্তার কাজ শুরু করতে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। আবার নিয়ম লঙ্ঘন করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। অথচ মাটি কাটার কথা শ্রমিক দিয়ে, যা প্রকল্প নীতিমালার পরিপন্থি। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, আমাদের কাছ থেকে টাকা ছাড়া তারা রাস্তার কাজ শুরু করেনি। আমরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি, কিন্তু এটা তো ঠিক না।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও কালাইয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ হাওলাদার অনিয়মের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ইমার্জেন্সি প্রয়োজনে সামান্য মাটি ভেকু দিয়ে কাটা হয়েছে, তবে বাকি কাজ শ্রমিক দিয়েই করা হয়েছে। তিনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোস্তফা মাইদুল মোর্শেদ মুরাদ বলেন, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগকারীদের বক্তব্য রেকর্ড করা আছে জানালে পিআইও মুরাদ বলেন, শোনেন, একটা মানুষের অনুমতি ছাড়া তার কল রেকর্ড করলে কিন্তু আরেকটা ভিন্ন মামলা হয়ে যায়।
প্যানেল