
কুড়িগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে গাছপালা ও বাড়িঘর। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বোরো ধান। ২৬ শে এপ্রিল (শনিবার) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় এই ঝড়। রাত ২টার দিকে ঝড়ের সাথে শুরু হয় শিলা।আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গতকাল রাতে শুরু হওয়া ঝড়ের গতিবেগ ছিল ২২ থেকে ৩২ কিলোমিটার পার আওয়ার।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। এই রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে। শহরের উপজেলা ও হেনাজেরতলে রাস্তায় বড় দুটি গাছ ভেঙে পড়ার কারণে অনেকটা সময় বন্ধ ছিল যান চলাচল।
কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার কাঠাঁলবাড়ি ইউনিয়নের মোকলেছুর রহমানের থাকার ঘরসহ ৩টি ঘর মাটির সাথে মিশে গেছে। দিনমজুর এই ব্যক্তির ঘর ভেঙে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
মোকলেছুর রহমান বলেন, 'ইটভাটায় কাজ করে সংসার চলে। ছেলেটা অসুস্থ। ছেলের বউ ও নাতনিকে আমাকেই পালতে হয়। গতকাল রাতে রান্নাঘর, থাকার ঘর সব ঝড়ে ভেঙে গেছে। জানি না কিভাবে নতুন ঘর করবো।'
একই এলাকার শরিফুল ইসলাম বলেন, 'ঝড়ে আমার ১ একর জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বোরো ধান কাটার সময় হয়েছে। এই সময়ে ধান মাটিতে পড়লে ধান হয় কম, পাতান হয় বেশি। ধারদেনা করে, কষ্ট করে ফসল ফলিয়েছি। ঘরে তোলার আগে এভাবে সব শেষ হয়ে গেল।'
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, 'আজ ও আগামীকাল এই ২ দিন জেলায় আরও শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'আমাদের অনেকাংশ বোরো ধান কর্তন হয়ে গেছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি অতিদ্রুত বাকি ধানগুলি কর্তন করতে।'
আফরোজা