ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

রংপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের হানা

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২৭ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০৪:৩৭, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

রংপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের হানা

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে কয়েকশ ঘরবাড়ি ও গাছপালা। জেলার তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, ও পীরগাছা উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে রংপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঝড়ের তাণ্ডব চলে। কয়েক মিনিটের ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে এই ক্ষতি হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝোড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, ধান, পাটসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগে ঘরবাড়ি ও গাছ-গাছালির ক্ষতির পাশাপাশি উড়ে গেছে স্থাপনা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার রাত পৌনে ১১টার পর থেকে থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এতে কয়েকটি উপজেলায় শতাধিকের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ ও আবহাওয়া অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি।

জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের ওমর মিয়া জানান, তার বাড়িতে গাছ উপরে পড়ে দুটি পাকাঘর ভেঙে গেছে। পাশাপাশি তামাকসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

একই ইউনিয়নের আব্দুল জব্বার বলেন, ইকরচালি বাজার-সংলগ্ন বটের গাছ ঘরের ওপর উপরে পড়ে তিনটি পাকা ঘর ভেঙে গেছে। বাজারের অনেক দোকানের ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও গাছপালা উপড়ে পড়ে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী বিপ্লব হোসেন অপু জানান, তারাগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এই কালবৈশাখী রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। রাতে তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিবার আরও বেশি হতে পারে বলে জানান তিনি।

গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মন্থনা, বাগপুর, মনিরাম, কোলকোন্দ ইউনিয়নের গোডাউনের হাট, পীরের হাট, কুটিরপাড়, আলমবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি, মণ্ডলেরহাট, শয়রাবাড়ি, নোহালি ইউনিয়নের নোহালিহাট, আনোরমারি, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী এস এম ইকবাল সুমন।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০ মিলিমিটার। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল। বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেই তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

শহীদ

×