ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

মেজর সিনহা হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে আইন উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ০১:০৩, ২৭ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০১:৩০, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

মেজর সিনহা হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে আইন উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার হাই কোর্টের রায় ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে তা কার্যকরের দাবি জানিয়েছে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন। 

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মেহেদী হাসান এ দাবি জানান। তিনি বলেন, “বিপ্লবের পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও মেজর সিনহার ফাঁসির রায় কার্যকরের কোনো অগ্রগতি দেখিনি। আশা করি, চলমান ডেথ রেফারেন্সের শুনানি আগামী সপ্তাহেই শেষ হবে এবং উচ্চ আদালত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখবেন।”

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে তিনি কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় কক্সবাজারের একটি বিচারিক আদালত। তাদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি হাই কোর্টে শুরু হয় গত ২৩ এপ্রিল।

মেহেদী হাসান জানান, বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাসহ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাথে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন যোগাযোগ করেছে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে চার মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে। তবে আমরা চাই, এটি ১৫ দিনের মধ্যেই শেষ হোক এবং রায় ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে কার্যকর করা হোক।”

সংগঠনটি শুধু মেজর সিনহা নয়, অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ খান সাইফ বলেন, “মেজর সিনহার পরিবার তিন বছর ধরে ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় মামলা অগ্রসর হয়নি। জুলাই বিপ্লবের পরও অজানা কারণে কার্যক্রম থমকে ছিল। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে দেখা করে আমরা বিষয়টি জানতে চেষ্টা করি।”

সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “ড. আসিফ নজরুলকে সাবধান হতে হবে। জনগণ যেভাবে হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে, প্রয়োজনে তাকেও সরানো হবে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা দক্ষতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন। তবে উপদেষ্টা পরিষদের কলঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছেন ড. আসিফ নজরুল।”

আসিফ

×