ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে চেয়ারম্যানের নির্দেশে পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০০:২০, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রামে চেয়ারম্যানের নির্দেশে পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট

ছবি: জনকণ্ঠ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘন করে পাহাড় কেটে বিশাল এক পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার থেকে রাঙ্গাপানি চা-বাগানে যাওয়ার পথে হাতের ডানে ৩০০ ফুট গেলেই বিশাল এক পাহাড়। সেখানে চেয়ারম্যানের নির্দেশে একাধিক এক্সকেভেটর ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দা বদি সওদাগরের নেতৃত্বে শ্রমিক দিয়ে অনুমতি ছাড়াই ইউপি ভবন সম্প্রসারণের নামে পাহাড়টি কাটা হচ্ছে।


পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের কোন অনুমোদন ছাড়াই প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাট করলেও চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, আ.লীগ সরকার পতনের পর এলাকায় খুবই ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে ওঠেছেন চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সবকিছুই তিনি করছেন। ইউপি ভবন বানাতে ভরাট করা হচ্ছে বিশাল এক পুকুর। এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করে কাটা হচ্ছে পাহাড়। আইনের কোনো তোয়াক্কা করছেন না তিনি।


পাহাড় কাটার বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশের ক্ষতিকর কোন কাজ আমি করছি না। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব পাহাড় কাটছি সম্প্রসারিত ইউপি ভবন নির্মাণের জন্য। এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য পাহাড় কাটাতো অপরাধ নয়। বিষয়টি ইউএনও’র নলেজেও দিয়েছি।’


চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাটের বিষয়টি জানি না। এমনটি হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি দ্রুত সরেজমিন দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য অধিদফতরের কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি।’


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। যে কোন স্থানে পাহাড় কাটার কোনো নিয়ম নেই। পাহাড় কাটা আইনগত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পুকুর ভরাটও নিষিদ্ধ। তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইউনুস/রবিউল

×