ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

সৈয়দপুরে যানজট লাঘবে ভ্রাম্যমান ডিভাইডার স্থাপন

নিজস্ব সংবাদদাতা, সৈয়দপুর

প্রকাশিত: ২২:১৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

সৈয়দপুরে যানজট লাঘবে ভ্রাম্যমান ডিভাইডার স্থাপন

সৈয়দপুর শহরে যানজট লাঘবে ব্যাস্ততম সড়কে ভ্রাম্যমান ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (২৬এপ্রিল) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো: হুমায়ুন কবীরের পক্ষে মো: জাহিদ আলম সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের হাতে ১০ টি ডিভাইডার তুলে দেন। 

জানা যায়, এ শহরে ৫শত মিটার দৈর্ঘ্যরে ৫টি প্রধান সড়ক। এই সড়কগুলোতে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ২০ হাজার যান চলাচল করে। এর মধ্যে বেশির ভাগই অটোরিক্সা। এ সকল অটোরিক্সা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত ভাবে সড়কে ওপর দাড়িয়ে ষ্টান্ড তৈরী করেছে। তারা কোন শৃঙ্খলা মানছেনা। এতে ২শত গজ পারাপারে প্রায় আধাঘন্টা সময় ব্যায় হয়। এ নিয়ে এ শহরের সুধীমহল মাসের পর মাস মিটিং করে। তবু কোন ইতিবাচক ফলাফল নেই। দিন দিন যানজট বাড়ছে। প্রকট হচ্ছে সমস্যা। 
এতে চলাচল অযোগ্য শহরে পরিণত হয়ে উঠছে সৈয়দপুর শহর। বিষয়টি বুঝতে পেরে শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক ক্রিকেটার ও এটলাস কসমেটিক্সের কর্ণধার হুমায়ুন কবীর নানাভাবে সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগকে। এরই ধারবাহিকতায় তিনি শনিবার  সড়কে ডিভাইডার প্রদান করেন। 
ডিভাইডারগুলো শহরের ব্যাস্ততম সড়ক তামান্না সিনেমাহলের সামনে বসিয়ে দেওয়া হয়। এর পইে উভয় দিকের যানবাহনগুলো সারিবদ্ধ ভাবে চলাচল করায় মুহুর্তেই যানজট নিয়ন্ত্রনে আসে। স্বস্তি আসে সড়কে। এ নিয়ে পথচারী ও অটোচারকরা জানান, এই ডিভাইডারগুলো প্রতিটি মোড়ে কিংবা পুরো শহরে থাকা উচিত। এতে শৃঙ্খলার সাথে সকলে চলাচল করবে। ফলে ভোগান্তি থাকবে। আব্দুল আউয়াল নামে এক অটোরিক্সা চালক জানান, কেউ ট্রাফিক নিয়ম মানে না। এই ডিভাইডারের কারণে ওভারটেক করতে পারছেনা। ইচ্ছে চলাচল বন্ধ হয়েছে। 

এটলাস কসমেটিক্স এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর জানান, শহরটি সকলের। আমি ঢাকায় থাকলেও প্রতিনিয়ত শহরবাসীর কথা ভাবি। তাদের দুর্ভোগ, দুর্দশা মনে পিড়া দেয়। এই অনুভুতি থেকে নতুন একটি ট্রাফিক বক্স নির্মাণ করি। সেখানে অবস্থান নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এই ডিভাইডার ভ্রাম্যমান হওয়ায় যানজট নিরসনে অন্যন্য সড়কে স্থানান্তর করা যাবে। আগামীতে অন্যান্য সমস্যা লাঘবে শহরবাসীর পাশে থাকতে চাই।

সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো: আমিনুল ইসলাম সরদার বলেন, আমি সবে মাত্র এসেছি। এ শহরে মূল সড়কগুলো প্রশস্ত কম। এর মধ্যে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে আটোরিক্সা। এতে মারাত্মক ভাবে যানজট হচ্ছে। ডিভাইডারগুলো পরিকল্পিত ভাবে বসিয়ে যানজট কিছুটা হলেও কমবে।

এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. নুর- ই- আলম সিদ্দিকী বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটে না। এতে সময়সহ সকলের ব্যায় কমে যায়। এই ডিভাইডার সেই নিয়মের বৃত্ত তৈরী করে। এতে নিয়ম মেনে চলাচল করতে হয়। ফলে সকলের নিরাপত্তার পাশাপাশি সবকিছুতেই সাশ্রয় হবে।

এ সময় সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক ( ট্রাফিক বিভাগ) মাহফুজুল আলম, ট্রাফিক সার্জেন্ট সাদেকুর রহমান সুজন, এটলাস কসমেটিকস লিমিটেডের পক্ষে জাহিদ আলম, আরজু হোসেন, রাসেল, সৈয়দপুর প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ কুতুব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। 

রাজু

×