
নালিতাবাড়ী : বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির গাছ দিয়ে সৃজন করা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি মিশ্র বন
জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড় ফের প্রাকৃতিক বনে ফিরে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এক সময় প্রাকৃতিক বন উজাড় করে গারো পাহাড়ে সৃজন করা হয়েছিল বিদেশী জাতের আকাশমনি ও ইউকেলিপ্টাস গাছের উডলট বাগান। এসব বাগান সৃজন করার ফলে পাহাড়ের ঝিরি বা ঝর্ণাধারা বন্ধ হয়ে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়ে জীববৈচিত্র্য। তাই পরিবেশের ভারসাম্যের কথা বিবেচনা করে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন পাহাড়ি বনে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির গাছ দিয়ে সৃজন করা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি মিশ্র বন।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জের বাতকুচি, সন্ধ্যাকুড়া ও সমশ্চুড়া বনবিটে মোট বনভূমি রয়েছে ৪ হাজার ২৩৫.২৮ একর। এ বন সৃজন করা হলে আগের মতো গারো পাহাড়ে বাঘ, ভাল্লুক, শূকর, হাতি, হরিণ, বনমোরগ ও শিয়াল-শকুনসহ বিভিন্ন জাতের বন্য পশু-পাখির অভয়াশ্রম তৈরি হবে। সেইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জলবায়ু বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বনজ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় গারো পাহাড়ের মধুটিলা রেঞ্জে ইতোমধ্যে বেতবাগানসহ ৪০০ হেক্টর বনভূমিতে মিশ্র বাগান সৃজন করা হয়েছে। এই এলাকার বনভূমিতে পর্যায়ক্রমে আরও দীর্ঘমেয়াদি মিশ্র বাগান সৃজন করা হবে।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সৃজিত এসব মিশ্র বাগানে বিলুপ্তপ্রায় দেশী প্রজাতির বিভিন্ন গাছপালা ও ঔষধি গাছসহ প্রায় ৫০/৬০ প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। এতে গারো পাহাড় আস্তে আস্তে আগের মতো প্রাকৃতিক বনে পরিণত হবে। বিলুপ্তপ্রায় এসব প্রজাতির আধিক্যের কারণে গবেষণা ও শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক কাজে লাগবে এ মিশ্র বন।
প্যানেল