
আখের রস বিক্রেতা বাবার সন্তান আরাফাত বাবার সহযোগিতার জন্য নিজেও রস বিক্রি করেন। বাবার দোকান সামলান। সেই রস বিক্রেতা আরফাত পড়বেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে এর আগে অল্পের জন্য মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু তাতে দমে যাননি আরাফাত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে তার। আরাফাত হোসেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের আখের রস বিক্রেতা আকবার খান ও গৃহিণী রহিমা বেগমের ছেলে। আরাফাত হোসেন বলেন, ২০২১ সালে ধোপাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। এরপর ২০২৩ সালে নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসিতে একই বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এক মার্কের জন্য মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ হয়নি। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচার বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। সকলের দোয়ায় ৮২৫তম স্থান পেয়েছি। আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আরাফাতের বাবা আকবার খান বলেন, ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ার প্রতি খুব মনোযোগী আরাফাত। তবে পরিবারের প্রয়োজনে আখের রস বিক্রিতে সহযোগিতা করত সে। আমি অসুস্থ হলে ধোপাদী থেকে ভ্রাম্যমাণ আখের রস বিক্রির দোকান নিয়ে নওয়াপাড়া চলে যেত। এক বেলা আখের রস বিক্রি করে বাড়ি ফিরেই বই-খাতা নিয়ে বসে পড়ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন সকলের দোয়ায় পূরণ হবে ইনশা আল্লাহ। এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান বলেন, দরিদ্র-মেধাবী আরাফাত হোসেনের ভর্তির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। তার এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম যে কোনো প্রতিকূলতাকেই জয় করতে পারে।
প্যানেল