
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় শুক্রবার রাতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো এবং সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ১ হাজার ১শ ৭৫ হেক্টর। এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১শ ৫০ হেক্টর। আর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১ হাজার হেক্টর। এছাড়া সবজির ক্ষতি হয়েছে ২৫ হেক্টর।
স্থানীয়রা জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার লেংগুরা ও খারনৈ ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়।
লেংগুরা ইউনিয়নের চৈতানগর গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, তিনি ৪ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। আগামী সপ্তাহে তার পাকা ধান ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু শিলাবৃষ্টির কারণে অন্তত দুই একর জমির প্রায় অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা আরও অনেক কৃষকের। ধানের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ডাটা, পুঁইশাক, করলা, তিল প্রভৃতি সবজি খেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চৈতানগর ছাড়াও গোড়াগাঁও, খারনৈ, বাউসাম, উত্তর রাণীগাও, গোবিন্দপুর ও সুন্দরীঘাটসহ অন্তত ২৩টি গ্রামের ফসলি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে এমন ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। লেঙ্গুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, তার ইউনিয়নের অনেক কৃষক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের পুনর্বান প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অন্তত ১ হাজার ৬৩০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সবজি চাষী ৪৫০ জন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
রিফাত