
ছবি: সংগৃহীত
কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন অর্ধলক্ষাধিক গ্রাহক এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল নির্ধারিত সময়ে হাতে না পেয়ে চরমভাবে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অধিকাংশ গ্রাহকের অভিযোগ, তারা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখের মাত্র একদিন দুই দিন আগে পেয়েছেন।
ফলে তাদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ধারদেনা করে অনেক গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। অনেক কে আবার যথা সময়ে পরিশোধ না করতে পারায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে । এ ছাড়া হাজারো গ্রাহক দাবি করেন, এ মাসে তাদের বিল বিগত মাসের চেয়ে অনেক বেশি করা হয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন নামের এক গ্রাহক জানান, তিনি এ মাসের বিল হাতে পেয়েছেন ২২ এপ্রিল। বিলের পরিমাণ প্রায় চার হাজার টাকা। যা পরিশোধের শেষ তারিখ ২৪ এপ্রিল। এ বিলটি ৫ এপ্রিল প্রস্তুত করা হয়েছে। তার দাবি বিলের টাকার প্রস্তুতির জন্য অন্তত দশ দিন আগে বিল পাওয়া দরকার। বিলের টাকা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ নাই এই গ্রাহকের। তবে তার মনে প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে। কষ্টও রয়েছে। কারণ, বিলটি তাকে ধারদেনা করে পরিশোধ করতে হয়েছে। পরিশোধের জন্য মাত্র একদিন সময় পেয়েছেন তিনি। অধিকাংশ গ্রাহকের অভিযোগ, তারা প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না।
কলাপাড়া পৌরশহর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নাজমুল ইসলাম জানান, এটা সত্যি সত্যিই দুঃখজনক। পরিশোধের শেষ তারিখের অন্তত ১০ দিন আগে বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের হাতে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। নইলে ব্যবসয়ীসহ সব ধরনের গ্রাহকরা বিলের টাকা সংগ্রহের প্রস্তুতি নিতে পারে না। বর্তমানে কলাপাড়ার অর্ধলক্ষাধিক গ্রাহক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাসিক বিদ্যুৎ বিল যথাসময়ে হাতে পাওয়ার সেবাটুকু নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. শাহিনুর রহমান জানান, গ্রাহক অনেক বেড়ে গেছে, প্রায় ৭০ হাজার। লোকবল স্বল্পতা রয়েছে, এ কারণে বিদ্যুৎ বিল যথাসময়ে পৌঁছাতে পারছেন না। তবে বিল পরিশোধের শেষ তারিখের অন্তত সাত দিন আগে যেন গ্রাহকের হাতে পৌঁছানো যায় এমন চেষ্টা করছেন। গ্রাহকদের দাবি গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
শহীদ