
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী দামুড়হুদা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক সাজিদ হাসান দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের মরহুম ওহিদুল ইসলামের ছেলে ও দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক।
ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আব্দুস সালাম বাবুর মেয়ে (২০) ২০২০ সালে দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজে ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল। ওই সময় একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক সাজিদ হাসানের সাথে সে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ছাত্রীটি শিক্ষক সাজিদ হাসানের কাছে নিয়মিত প্রাইভেট পড়তো। সে সময় থেকে প্রভাষক সাজিদ হাসান তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টায় দামুড়হুদা উপজেলা সদরের গুলশান পাড়ার কুতুব মাস্টারের বাড়ীর নীচ তলায় শিক্ষক সাজিদ হাসানের ভাড়া নেওয়া প্রাইভেট পড়ানোর ঘরের মধ্যে আবারো তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই ছাত্রী, তাকে বিয়ে করতে বললে তিনি নানান তালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে শিক্ষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাহমিদা রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে সভা করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইতোপূর্বেও এমন একটি ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে সাজা দেয়া হয়েছিল। সে সময় ওই বিষয়টি রেজুলেশনভুক্ত করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী শিক্ষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে মডেল থানায় ধর্ষণের মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে সেটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নং ১৮/২৫.০৪.২৫। শনিবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রীটির মেডিকেল চেকআপ করানোর কথা ছিলো। কিন্তু তার পরীক্ষা থাকায়, চেকআপ রবিবার (২৭ এপ্রিল) করানো হবে।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালের ১১সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা উপজেলায় দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় তৎকালীন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রভাষক সাজিদ হাসানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সে সময় অভিযুক্ত সাজিদ হাসান জরিমানার টাকা নগদ পরিশোধ করে মুক্ত হন।
রিফাত